হাওড়া, 21 এপ্রিল: সনাতন ধর্মে চারধাম যাত্রা সবচেয় পূণ্যের বলা হয় ৷ আর এই যাত্রার শুরু হয় কেদারনাথের ধাম দিয়ে ৷ যদিও এই যাত্রা অর্থ থাকলেই সম্ভব নয় ৷ এর জন্য মনের জোর ও ঈশ্বরের ইচ্ছে দুই সমানভাবে প্রয়োজন, এমনই বিশ্বাস মানুষের মনের ৷ আর এই কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই পিছিয়ে আসেন ৷ সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ পূণ্য অর্জনের জন্যই তীর্থযাত্রা করে থাকেন ৷ কিন্তু, হাওড়ার সাঁকরাইলে প্রভাস বর শুধু পূণ্য অর্জনের জন্য নয় ৷ বরং জন কল্যাণের ও সর্বপরি গঙ্গা দূষণরোধের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চার ধামের অন্যতম কেদারনাথ ধাম যাত্রার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তাও আবার পায়ে হেঁটে ৷ প্রায় 2 হাজার কিলোমিটারের কেদারনাথ ধামের পথ পায়ে হেঁটে পার করবেন তিনি ৷
ছোটবেলা থেকে শিব ভক্ত প্রভাস শ্রাবণ মাস এবং শিব চতুর্দশীর মতো বিশেষ দিনগুলি ভক্তি এবং শ্রদ্ধা সঙ্গে পালন করেন ৷ এর আগে বহুবার পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর মন্দিরে জল ঢেলে এসেছেন ৷ যদিও, তাঁর মনের সুপ্ত বাসনা ছিল একবার দেবভূমিতে যাওয়ার ৷ মনের সেই সুপ্ত বাসনাকে বাস্তবায়িত করতে অন্তরের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে ভর করে গত বৃহস্পতিবার কেদারনাথের দর্শন করতে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন তিনি ৷ স্থানীয় সবজির আড়তে শ্রমিকের কাজ করেন প্রভাস ৷ তাঁর বাড়িতে মা বাবা এবং চার-ভাই বোন রয়েছে ৷ বাড়ির বড় ছেলে প্রভাস ৷ ছেলের সব ইচ্ছেতে বাড়ির তরফে কখনও কোনও বাধা আসেনি ৷ তাই পায়ে হেঁটে কেদারনাথ ধাম যাত্রার এই বিষয়ে তাঁকে কোনও বাধা পেতে হয়নি ৷
দেশের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যাওয়ার আগে নিজের যাত্রার প্রয়োজনে হাওড়ার জেলাশাসক থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রভাস ৷ এই যাত্রার আগে দীর্ঘ 2 মাস ধরে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ৷ কাজে, বাড়িতে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব জায়গায় খালি পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেছেন ৷ এর আগে তারকেশ্বরেও বহুবার খালি পায়ে গিয়েছেন শিবের মাথায় জল ঢালতে ৷ শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৷ এমনকি ব্ল্যাক বেল্টও জিতেছেন বছর 30 এর প্রভাস ৷