হাওড়া, 25 ফেব্রুয়ারি : “কবে আমাদের দেখা হবে ? যুদ্ধ যেদিন শেষ হবে.. কবে যুদ্ধ শেষ হবে ? যবে ফের আমাদের দেখা হবে ৷” প্যালেস্তাইনের জাতীয় কবি মহম্মদ দারউইশের লেখা এই লাইনেই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাওড়ার বাসিন্দা ইউক্রেনের ইরিনা (দে) প্রিতলিউক (Iryna Dey is eager to go Ukraine) ।
ইউক্রেনের টের্নোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পড়তে গিয়েছিলেন হাওড়ার সৌরভ দে । সেখানেই ইরিনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ৷ সেখানেই তাঁদের আলাপ ৷ বিয়ের পর তাঁরা চলে আসেন ভারতে ৷ এই দেশে থাকলেও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আন্দুলের ‘বিদেশিনী বাঙালি বধূ‘র মন পড়ে 5800 কিলোমিটার দূরে, ছোটবেলার শহর টের্নোপিলে । যেখানেই থাকেন তাঁর পরিবার, আত্মীয়রা ৷
কয়েকবছরে এদেশেরই একজন হয়ে উঠেছেন ইরিনা । এমনকি দেশকে এতটাই ভালবেসে ফেলেছেন যে শ্বশুরবাড়িকে ছেড়ে ইউক্রেনে যাওয়ার কথা আর সেভাবে মনেই আসে না । তবে যুদ্ধ ঘোষণার পর সেই ইরিনাই এখন ছটফট করছেন কবে যাবেন টের্নোপিলে । আবার দেখতে পারবেন তাঁর আত্মীয়-বন্ধু-পরিজনদের । ইরিনার পরিবার-পরিজন সবাই এখন গৃহবন্দি ৷ ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, “জানেন, আমার ওখানকার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরেই শুনছি চারদিকটা কেমন যেন বদলে গিয়েছে । থমথমে পরিবেশ । না জানি আবার হয়তো প্রতিঘর থেকে কাউকে না কাউকে যুদ্ধে যেতে হবে…” গলা বুজে আসছিল ইরিনার । “গতকাল থেকে জল বন্ধ, ইলেকট্রিসিটি নেই । আর এখন তো যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন । ফোনে বা স্কাইপেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না । ইচ্ছে হচ্ছে, এক ছুট্টে চলে যাই ভাইয়ের কাছে ।