হাওড়া, 25 এপ্রিল : "অবিলম্বে হাওড়ায় পৌর নির্বাচন না হলে এবার রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়ে বিচার চাইব ৷" এভাবেই হুমকি দিলেন হাওড়া সদরের লোকসভার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun bandyopadhyay said about corporation election) । অন্য়দিকে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যপালকে দুষছেন বলে পাল্টা দাবি বিজেপির ।
হাওড়ার সঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং সেই ষড়যন্ত্র ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যপালকে দিয়ে করাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রসূনের ৷ হাওড়া সদর থেকে 16 জন তৃণমূল বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ৷ আর এটাতেই এদের গায়ের জ্বালা ধরেছে বলে জানান প্রসূনবাবু ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, হাওড়ার এক লক্ষ মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন । তাঁকে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানাবেন । হাওড়ার পৌরনিগমের ভোট অবিলম্বে যাতে করানো হয় সেই ব্যবস্থা করবেন ।
তিনি জানান, 4 বছর হতে চলেছে 66টি ওয়ার্ডে কোনও পৌর প্রতিনিধি নেই । সামনে 2024-এর লোকসভার নির্বাচন আসতে চলেছে । অথচ নির্বাচন না হওয়ার কারণে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে । তার আশঙ্কা, এর প্রভাব লোকসভা নির্বাচনে পড়বে বলেই এই রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন :'ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ'-এর উত্থানে পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ
যদিও সাংসদকে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ পড়াশোনা করার উপদেশ দেন বিজেপি নেতা উমেশ রাই । তিনি জানান, রাজ্য সরকারের অকর্মণ্যতার জন্য এই অবস্থা হয়েছে । বালিকে হাওড়া পৌরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করেও বালির মানুষ পরিষেবা পাননি । নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে ফের ডিলিমিটেশন করার নামে 6 মাস নির্বাচন পিছনো হল । এরপরে কোভিডের জন্য দু'বছর নির্বাচন হয়নি । বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ফিরহাদ হাকিমের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্য সরকার বালিকে হাওড়ার থেকে আলাদা করার বিল পাশ করে । সেটা নিয়ে রাজ্যপাল সরকারকে কিছু প্রশ্ন করেন উত্তর দেওয়ার জন্য । কিন্তু সরকার সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি আজও । তাঁর কথায়, "এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ৷ এতে রাজ্যপালের কোনও দোষ নেই ৷"