সাঁকরাইল, 29 জানুয়ারি: এলাকা দখলের লড়াই নাকি প্রতিহিংসার রাজনীতি, হাওড়ায় শাসক দলের গোষ্ঠীদন্দ্বের নেপথ্য কারণ কী ! সাঁকরাইল থানার নাজিরগঞ্জ এলাকাতে এক যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা আরিফ খানের বাড়িতে হামলা চালানো হয় । ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ (TMC Leader house attacked in Howrah) ৷
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মাসুদ খান ওরফে গুড্ডু খান নামে এক ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে ৷ ওই ব্যক্তি ও তার শ্যালক কামরুজ্জান খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলে হলে বিচারক তাদের 8 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 326, 307 ও 24 ধারা এবং অস্ত্র আইনের 25/27 ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরিফ খানকে বাড়িতে না-পেয়ে ওই যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বেধড়ক মারধরের করে গুড্ডু খানের অনুগামীরা । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসিফের বাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করে অভিযুক্ত গুড্ডু খান এবং তার দলবল । এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই গুড্ডুকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত 11টা 3 মিনিটে আরিফ খানের বাড়ির গলি দিয়ে দৌঁড়ে আসে এক যুবক । পিছনের একদল যুবক তখন তাঁকে ধরে মারধর শুরু করে ৷ এরপর নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ওই যুবক । কালো রঙের জ্যাকেট পরিহিত ওই যুবককে মারের চোটে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি মোটরবাইকের উপরে পড়ে যেতেও দেখা গিয়েছে ৷ তাঁকে উইকেট ও ব্যাট দিয়ে দুষ্কৃতীদের মারের দৃশ্যও ধরা পড়েছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আরেক যুবক তাঁকে টেনে তোলে । এরপর ফের এলোপাথাড়ি ব্যাট দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় । তারপর পাশের একটি বাড়ির দরজাতেও ব্যাট দিয়ে জোরে জোরে মারা হয় ।
আরও পড়ুন:শুধু ডায়মন্ড হারবারের জন্য প্রশাসনিক বৈঠক কেন ? মুখ্যসচিবকে প্রশ্ন শুভেন্দুর
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গুড্ডু খান ও তার শ্যালককে গ্রেফতার করার পরই শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয় । জানা গিয়েছে, এই গুড্ডু খান হলেন হাওড়া পৌরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী । গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেয় গুড্ডু । যদিও বিজেপি'র টিকিটে প্রার্থী হতে না-হতে পেরে বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সে । তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গে গুড্ডুর আর কোনও সম্পর্ক ছিল না ৷ এই গুড্ডু সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় ।