হাওড়া, 16 ফেব্রুয়ারি:প্রয়াত হলেন শিবপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ী (Jatu Lahiri Passes Away)। বৃহস্পতিবার সকালে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জীবনবসান ঘটে । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 87 বছর । দীর্ঘদিন ধরে বার্ধ্যকজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি । কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান জটু লাহিড়ী । বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু লেনে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।
পাঁচ বারের বিধায়ক: কংগ্রেস থেকে রাজনীতি শুরু । 2021 সাল পর্যন্ত তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । তিনি 1991, 1996, 2001, 2011 ও 2016 সালে মোট 5 বার রাজ্য বিধানসভায় শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন ।
রাজনৈতিক জীবন: তাঁর জন্ম 1938 সালে, হাওড়াতে ৷ ছাত্রাবস্থায় কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও 1998 সালের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি । হাওড়া পৌরসভার 48 নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের পৌর প্রতিনিধি ছিলেন জটু লাহিড়ী । এছাড়াও 1991 সাল থেকে 2016 সাল পর্যন্ত শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটানা পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন । তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জটু লাহিড়ী ।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের ফ্লেক্স ব্যানার থেকে উধাও শিবপুরের প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ী
2021 সালে বয়সের কারণ দেখিয়ে তাঁকে শাসক দল টিকিট না দিলে তিনি ক্ষোভে বিজেপিতে যোগ দেন । যদিও এরপর থেকে তাঁকে সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি । তাঁর এক ছেলে ও মেয়ে থাকলেও কয়েক বছর আগে মেয়ের আকস্মিক মৃত্যু হয় ।
হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে জীবনাবসান: সূত্রের খবর, বয়সজনিত কারণে বিগত একমাস ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিক । বুধবার গভীর রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ডেকে আনা হয় ৷ যদিও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পুত্র অভিজিৎ লাহিড়ী । অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে আর সুস্থ করা সম্ভব হয়নি বলেই জানান তিনি ।
পরিবারকে সমবেদনা স্থানীয় বিজেপি নেতার: জটু লাহিড়ীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান হাওড়া পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী । তিনি প্রয়াত রাজনীতিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, "জটু লাহিড়ীর প্রয়াণে হাওড়ার রাজনীতিতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল । তাঁর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল । তিনি অত্যন্ত নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন । যাঁর যখন প্রয়োজন তিনি ছুটে যেতেন ।" বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে ।