হাওড়া, 21 জুলাই:শুক্রবার ভোররাতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হওড়ার মঙ্গলাহাট। আর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন দুপুরের পর ধর্মতলার 21 জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান সেরেই মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার খানিক পরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার উদ্দেশে মঙ্গলাহাটে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও। এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে। সিআইডিকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হবে।"
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে আচমকা আগুন লাগে পোড়া মঙ্গলাহাটে। ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় কয়েক হাজার দোকান। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের 18 টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় এলাকাবাসী। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। আগুন লাগার পিছনে অবশ্য চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন পোড়াহাটের ব্যবসায়ীদের। শান্তি রঞ্জন দে নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি ঘটনা প্রসঙ্গে সরাসরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, "হাটের ব্যবসায়ীরা প্রতি সপ্তাহে 13 জায়গায় টাকা দেন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সহ পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে তোলার টাকা দেওয়ার পরও এই ব্যবসায়ীদের কোনও সুরক্ষা নেই। আজকে তারা অগ্নিকাণ্ডের জেরে কার্যত শেষ হয়ে গেলেও যারা টাকা নেয় তারা তাদের পাশে নেই।"
আরও পড়ুন: 'বেটি বাঁচাও' স্লোগানের পরও দেশের মেয়েরা জ্বলছে, বিজেপিকে ঝাঁঝালো আক্রমণ মমতার
বেশ কয়েক বছর আগে এখানে আরও বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৷ দাবি সেই থেকেই এর নাম হয় পোড়াহাট। যে কোনও বড় হাটে ন্যূনতম সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা রাখা হয়। আগুনের জন্য আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়। দাহ্যশীল পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র হওয়ার পরেও কোনওদিন দমকল বিভাগকে এখানে বৈধ লাইসেন্স দিতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কারণ হিসাবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্দিষ্ট দিনে সকলের টাকা টাকা পেয়ে যায়। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হলে ষড়যন্ত্র করে আগুন লাগানো হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সত্যি কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি।