হাওড়া, 22 জুলাই : বন্ধ হতে চলেছে এশিয়ার বৃহত্তম রেলওয়ে প্রিন্টিং প্রেস ৷ রেলের তরফে একটি নোটিশ জারি করে একথা জানানো হয় ৷ কিন্তু কেন এই প্রেস বন্ধ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কর্মীরা ৷
সালটা 1855 ৷ ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের হাত ধরে পথ চলা শুরু করে রেলওয়ে প্রিন্টিং প্রেস ৷ তারপর থেকে রেলকে পরিষেবা দিয়ে আসছে এই প্রেস ৷ বর্তমানে একইভাবে কার্যকর রেলওয়ে প্রিন্টিং প্রেস ৷ প্রতিদিন প্রায় 27 লাখ টিকিট সাপ্লাই হয় হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এই প্রেস থেকে ৷ শুধু ইস্টার্ন রেলওয়েতে নয়, ইস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ে, নর্দান ইস্টার্ন রেলওয়ে, নর্দান ফ্রন্টাল রেলওয়ে, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে ও নর্দান রেলওয়েকে টিকিট ও নানা প্রিন্টেড প্রতিবেদন সাপ্লাই করে ৷ হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই প্রেস বর্তমানে কার্ড টিকিট, PRS, UTS, 150 রকমের মানি ভ্যালুর পাশাপাশি প্রায় 700 রকমের ফর্ম সাপ্লাই করে রেলকে ।
চলতি বছর হঠাৎই 164 বছরের পুরোনো এই প্রেস বন্ধের নোটিশ জারি করে কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কর্মীরা ৷ পরে প্রতিবাদ শুরু করে এই প্রেসের কর্মচারী সংগঠনগুলি ৷ আগে ERMC-র তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল ৷ আজ ERMU একদিনের অনশন কর্মসূচি শুরু করে ৷ কর্মীদের বক্তব্য, প্রেস বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ ৷ যার জন্য কিছুদিন আগেই প্রায় 14 কোটি টাকা ব্যয়ে স্পেন থেকে নিয়ে আসা হয়েছে রোটোম্যাক মেশিন ৷ চলছে বিল্ডিং সংস্কারের কাজ ৷
ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের ইস্টার্ন জ়োনের প্রেসিডেন্ট বিনোদ শর্মা বলেন, "বেসরকারিকরণ করার জন্য বন্ধ করা হচ্ছে এই প্রেস ৷ কর্মীদের অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে প্রেসকে তুলে দিতে চাইছে ৷ তারপর সরকারি জমিতে মুনাফা নেবে সেই সংস্থা ৷ আমার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম ৷ কিন্তু তারা কথা বলতে অস্বীকার করে ৷ "
AIRF-এর সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট শিবগোপাল মিশ্র বলেন, "আচমকা রেল বোর্ডকে অনুরোধ করব ৷ যদি না শোনা হয় তাহলে আরও বড় আন্দোলন করব ৷"