আমতা, 23 ফেব্রুয়ারি : ছাত্রনেতা আনিশ খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ৷ দিন দুয়েক আগে এই মৃত্যুর তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিট গঠন করা হয় ৷ বিশেষ তদন্তকারী দল আনিশ খানের আমতার বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকের সঙ্গের কথা বলেছেন ৷ গতকাল সাসপেন্ড করা হয় আমতা থানার তিনজন পুলিশ কর্মীকে ৷ এর পাশপাশি আজ এই ঘটনায় দু'জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করেছেন ৷ পরে ভবানী ভবন থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানান, আনিশ খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ দু‘জনেই আমতা থানায় কর্মরত ছিলেন ৷
যদিও এই গ্রেফতারির খবর খুশি করতে পারেনি মৃত ছাত্রনেতার পরিবারকে ৷ তাঁরা এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও ভরসা করতে পারছে না মৃতের পরিবার ৷ উল্টে এই গ্রেফতারির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আনিশের বাবা সালেম খান এবং ভাই সাবির খান ৷ গ্রেফতারির খবরের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আনিশের বাবা বলেন, "সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমি ৷ এরাই যদি ঘটনার দিন রাতে এসে থাকে, তাহলে আমাকে দিয়ে কেন টি আই প্যারেড করাল না পুলিশ ?" প্রশ্ন তাঁর ৷
তিনি বলেন, সেদিন রাতে চারজন এসেছিল বাড়িতে ৷ তাদের মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার ও বাকিদের গায়ে সিভিক পুলিশের পোশাক ছিল ৷ কিন্তু যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দু'জনই থানার আধিকারিক ৷ তাঁর ইঙ্গিত, পুলিশ কোনওভাবে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে ৷ তাই সিবিআই তদন্ত হলেই একমাত্র আসল দোষীদের খুঁজে পাওয়া যাবে ৷ এমনই ধারণা সালেম খানের ৷ পুলিশি তদন্তে যে তাঁদের একফোঁটা বিশ্বাস নেই তা বারবার বুঝিয়ে দেন ৷ সালেম খান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যদি 20 জনকেও গ্রেফতার করে তাতেও আশ্বস্ত হব না ৷ বরং আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করে একজনকে গ্রেফতার করলেও খুশি হব ৷"