হাওড়া, 16 এপ্রিল : ফের বদল করা হল হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । বীরেন্দ্র প্রসাদ সাউয়ের জায়গায় ফিরে এলেন ভবানী দাস । তিনি এর আগেও হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদে ছিলেন । মাস কয়েক আগে তাঁকে এখান থেকে বদলি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়।
হটস্পট হাওড়া: ফের বদল মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক
আবারও বদলি করা হল হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে । কিছুদিন আগেই এই বদলি হয়েছিল । হাওড়ায় বেড়েছে কোরোনা সংক্রমণ ।
হাওড়া হাসপাতালের সুপার কোরোনায় আক্রান্ত । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মী, চিকিৎসক, নার্সদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে । জেলা হাসপাতালের সুপার কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই কঠিন মুহূর্তে জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয় । প্রথমে পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদারকে পোস্টিং অর্ডার দেওয়া হয় । কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বদলে বীরেন্দ্র প্রসাদ সাউয়ের নাম পাঠানো হয় হাওড়ায় । এরপর তিন সপ্তাহ ঘোরার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল বীরেন্দ্র প্রসাদ সাউকেও । তাঁর জায়গায় আনা হল ভবানী দাসকে । এই বিষয়ে ভবানী দাস বলেন, "গতকাল সন্ধেয় আমার কাছে নতুন পোস্টিং অর্ডার আসে । সেইমতো আমি যোগ দিই হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে ।" এক্ষেত্রে তিনি যেহেতু হাওড়ায় আগে এই পদে বহাল ছিলেন তাই তাঁর অভিজ্ঞতাও বেশি । সেই কারণে কোরোনা সংক্রমণ রোধে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও তাঁর পক্ষে সুবিধাজনক হবে । সেই কারণেই এই বদলি বলে মনে করছেন অনেকে ।
দিন দিন দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । পিছিয়ে নেই রাজ্যও । সংক্রমণের হারের নিরিখে বিভিন্ন জায়গাকে হটস্পট এবং রেড জ়োন ও অরেঞ্জ জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । হটস্পট তালিকায় নাম জুড়েছে হাওড়ার । হাওড়া হাসপাতালের সুপার কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় । পাশাপাশি আধিকারিক এবং কর্মীরাও কোরোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল । বিষয়টি নিয়ে নবান্নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । সেই সঙ্গে হাওড়া জেলা হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে যেতে নিষেধ করেন তিনি । এর পাশাপাশি কার্যত নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ অসুস্থ হলে বা বিশেষও কোনও প্রয়োজনে হাসপাতালে যেতে হলে সবাই যেন হাওড়া জেলা হাসপাতাল এড়িয়ে যান । প্রয়োজনে অন্য কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ।