হুগলি, 19 ফেব্রুয়ারি:বলাগরের একটি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে কর্মরত ছিলেন স্বামী । নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে যায় তাঁর । এরপরই শুরু হয় পরিবারে অশান্তি । তা চরম আকার নেয় । রবিবার সকালে স্বামী ও দুই ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় স্ত্রী'র (Woman body recovered) । মৃতের নাম মৌমিতা ঘোষ । ঘটনাটি ঘটেছে সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরনই গ্রামে ।
যদিও স্বামীর দাবি, কোনও অশান্তি হয়নি । কিন্তু দুই সন্তানের দাবি, বাবা প্রতাপ ঘোষ সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে 2018 সালে চাকরি পায় বলাগরের একটি স্কুলে । বাবার চাকুরি চলে যাওয়ার পরই পরিবারে অশান্তি শুরু হয় । তারপরেই আজ মায়ের মৃত্যু হয়েছে । বিজেপির দাবি, ওই মহিলার আত্মহত্যার জন্য তৃণমূলই দায়ী । নেতারা যাদের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে । তবে তৃণমূলের দাবি, বলাগরে চাকুরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এটা বলা স্বাভাবিক । কিন্তু এর আগেও ওই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন । পঞ্চায়েত গতভাবে পারিবারিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে ।
মৌমিতার কাকা সমীর ঘোষ জানান, প্রতাপকে চাকরির জন্য শ্বশুর বাড়ির তরফে টাকা দেওয়া হয়েছিল । জমি বন্ধক দিয়ে টাকা দেওয়া হয় । সেই টাকা শোধ করেননি প্রতাপ । মৌমিতার সঙ্গে সেই নিয়ে বিবাদ হয় । মৌমিতার পরিবারও অশান্তি করে মেয়ের সঙ্গে । তিনি বলেন, "এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয় । খুন করা হয়েছে মৌমিতাকে । ঘরের ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে যায় খুনীরা । আমরা থানায় শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করব ।"