আলমারি থেকে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার চুঁচুড়া, 10 ডিসেম্বর: আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার পচাগলা দেহ (Woman body recovered from almirah)। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাট এলাকায় । মৃতের নাম ভারতী ধারা (62)। ঘটনায় আটক করা হয়েছে মহিলার স্বামী ও ছেলেকে ৷
শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে স্বামী কাশীনাথ ধারাকে নিয়ে থাকতেন ভারতী ধারা। অস্থায়ী একটি টিনের ঘরে থাকতেন দু'জনে। পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় থাকেন ছেলেরা। অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী'কে মেরে আলমারিতে ভরে দিয়েছেন স্বামী কাশীনাথ (Family suspects husband behind woman murder) ।
জানা গিয়েছে, গত 8 ডিসেম্বরে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা । স্বামী কাশীনাথ সেই অর্থে কিছুই কাজ করেন না । ভারতী বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন । অভিযোগ, প্রতিদিনই স্ত্রী'র কাছ থেকে টাকা নিয়ে মদ খেতেন কাশীনাথ । সেই নিয়ে সংসারে চলত অশান্তি । গত পরশু দিন সকালে শেষবার ভারতীকে স্থানীয়রা এলাকায় দেখতে পান ।
পাশেই থাকেন ভারতীর ছেলে বিশ্বনাথ ধারা ৷ তাঁর ক্যাটারিং ব্যবসার মালপত্র থাকে মা-বাবার ঘরেই। সেই সংক্রান্ত কাজের জন্য তিনি এদিন ভারতীর ঘরে ঢোকেন। বিশ্বনাথ আলমারি খুলতেই মায়ের দেহ মেঝেতে পড়ে যায় বলে দাবি । মৃতের এক আত্মীয়র অভিযোগ, কাশীনাথই স্ত্রী'কে খুন করে আলমারিতে ভরে রেখেছিলেন ।
এরপরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷ ভিড় জমায় উত্তেজিত জনতা । পুলিশ পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । দেহে পচন ধরায় তা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে বলেই খবর । তবে পুলিশের দাবি, আলমারির মধ্যে দেহ ছিল না । মহিলার ছেলে বিশ্বনাথ ধারা বলেন, "সামনে মাসির বাড়ি ৷ মনে করেছিলাম মা সেখানেই গিয়েছে ৷ কিন্তু দু'দিন পেরিয়ে গেলে খোঁজ নিয়ে দেখি সেখানেও যাননি তিনি । সামাজিক মাধ্যমে ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিলাম । আজ সকালে আলমারিতে কাপড় খুঁজতে গেলে নীচে পরে যায় দেহটি । কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটাও বলতে পারছি না ।"
মহিলার পূত্রবধূ কাজল ধারা বলেন, "বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি । কাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুঁজি শুরু করা হয় । আমার স্বামী আলমারি থেকে কাপড় বার করার সময় দেহটা পড়ে যায় । তারপরই চেঁচামেচি শুরু হয় । আমাদের দাবি, শ্বশুর মেরে রেখে দিয়েছে তাঁকে । শাশুড়িকে একদমই দেখতে পারতেন না শ্বশুর । আমরা যতবার জিজ্ঞাসা করছি ততবার বলছেন কিছু জানি না। তালা দিয়ে ঘর আগলে রেখে দিয়েছিলেন শ্বশুর ।"
আরও পড়ুন:পুকুরে ভাসছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ, চাঞ্চল্য জগাছায়
কাউন্সিলর দেবযানী দত্ত বলেন, "ওনাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে । এখানে অস্থায়ী বাড়ি করে ছিলেন এই পরিবার । আসল কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করুক পুলিশ ।"