পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Recruitment Scam: গ্রেফতার 'মালিক' অয়ন, অনিশ্চয়তায় হুগলির পেট্রল পাম্পের কর্মীরা

বিভিন্ন জায়গায় বেনামে সম্পত্তি ৷ রয়েছে পেট্রল পাম্পও ৷ তবে এবার সব কিছুই ইডির নজরে ৷ কাজ হারাবার ভয় পাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে থাকা হুগলির গুড়াপের পেট্রল পাম্পের কর্মীরা (petrol pump workers fear of job loss) ৷

Etv Bharat
হুগলির গুড়াপে অয়ন শীলের পেট্রোল পাম্প

By

Published : Mar 23, 2023, 7:46 PM IST

হুগলির গুড়াপে অয়ন শীলের পেট্রল পাম্প

হুগলি, 23 মার্চ: দুর্নীতি তে ধৃত অয়ন শীলের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি টলিউড যোগ, প্রতিটা তথ্য খুঁটিয়ে দেখছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা (Ayan Sil Recruitment Scam) ৷ এবার ধৃত অয়ন শীলের ছেলের ও ছেলের বান্ধবীর নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে সেখানে এখনও ইডির হানা পড়েনি । পেট্রোল পাম্পের পাশেই তৈরি হচ্ছিল হোটেল । অভিযোগ, হুগলি-সহ নানা জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নিয়ে নামে-বেনামে এই সম্পত্তি তৈরি করেছিল অয়ন।

কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রোমোটিং, ব্যবসা থেকে সিনেমায় টাকা ঢালা নানা যোগের খোঁজ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা ৷ ইতিমধ্যেই অয়নের নামে ইডি 32টি অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি টাকার সম্পত্তি হিসাব দিয়েছে । বৃহস্পতিবার হুগলির গুড়াপ থানার ঘোষলা এলাকায় অয়নের ছেলের নামে পেট্রোল পাম্পের খোঁজ মেলে।

শুক্লা পেট্রোল পাম্পের বিক্রেতা হিসাবে নাম রয়েছে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দ গোপাল শুক্লা, অজয় শুক্লা ও আশিষ শুক্লার ৷ জানা গিয়েছে, এই পাম্প দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে বছর চারেক ধরে বন্ধ ছিল । 2020 সালে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে কেনা হয় এই পেট্রল পাম্পটি ৷ পাশেই তৈরি হচ্ছিল একটি হোটেল। বছর দেড়েক আগে সেটির কাজ বন্ধ হয়ে যায় অজ্ঞাত কারণে। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীল গ্রেফতারের পর এক এক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে এখন এই পেট্রল পাম্পে কর্মীরা রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে (petrol pump workers fear of job loss) ৷

আরও পড়ুন:কোথা থেকে সূত্রপাত অয়ন শীলের দুর্নীতির ?

ইডির তদন্তে এই পাম্প রয়েছে। অয়নের সম্মতি নিয়েই তাঁর বিভিন্ন সম্পত্তি সিল করে দিচ্ছে ইডি ৷ সেইমতো যদি এই পেট্রল পাম্প বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বেকার হয়ে পড়বেন পাম্পের কর্মীরা ৷ ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতজন কর্মী। পাম্পের কর্মী বাপ্পা দাস বলেন,"কে কিনে ছিল সেটা বলতে পারব না। আমাদের মালিকের নাম অভিষেক শীল ও ইমন গঙ্গোপাধ্যায় । দেড় বছর ধরে কাজ করছি সব কিছুই করতে হয় । সাত হাজার টাকা বেতন পাই । শুক্লা সার্ভিস নামেই কেনা হয়েছিল । অয়ন খুব কম আসতেন । অভিষেক কোনওদিন আসেননি । এখানকার কর্মীরা স্থানীয় ছেলে। এখানে এখনও ইডির অফিসাররা আসেননি । পাম্প চালু আছে এখনও । তবে একটু অনিশ্চিয়তার মধ্যেই আছি ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details