বলাগড়, 22 অক্টোবর : পুরেন্দর চৌধুরীকে বিভিন্ন জায়গায় ওঝার কাজ দেখে দিত নৈহাটির বাসিন্দা লাল্টু চৌধুরী ৷ কখনও কখনও পুরেন্দরকে সঙ্গে করেও নিয়ে যেত লাল্টু ৷ এমনই এক ওঝার কাজের সন্ধান আসে কল্যাণীর যদুবাটি থেকে ৷ ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওঝার জন্য দীর্ঘদিনের পরিচিত লাল্টু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন যদুবাটির বাসিন্দা জুইতি মাহাত ৷
সেইমতোই পুরেন্দর যদুবাটিতে ওঝার কাজের জন্য যেতে শুরু করে ৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে ছেলেকে সুস্থ করার কাজ না করে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত ৷ একাধিকবার তার সঙ্গে সহবাস করে পুরেন্দর ৷ জুইতি না চাইলেও তাকে জোর করে সহবাস করতে বাধ্য করত পুরেন্দর ৷ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েও না পারায় ফের লাল্টুর দ্বারস্থ হয় জুইতি ৷ পুরেন্দরের হাত থেকে রেহাই পেতে জুইতিই লাল্টুকে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে তাকে খুন করার জন্য বলে ৷
এরপরই কাজের নাম করে লাল্টু বলাগড় ডুমুরদহে নিয়ে যায় পুরেন্দরকে । সেখানে দুজনে একসঙ্গে মদ খায় ৷ তারপর পুরেন্দরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়ে লাল্টু ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে বলাগড় থানার পুলিশ প্রথমে লাল্টুকে গ্রেফতার করে । এরপর জুইতি মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছে । এই ঘটনার পর পুলিশ জুইতিকে চুঁচুড়া আদালতে নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।