শেওড়াফুলি, 23 মার্চ: প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই ৷ যদিও মানবতার প্রচার করেছেন শেওড়াফুলির মহিলা টোটো চালক সুচিত্রা দাস । সংসার চালাতে এই পেশায় আসা 47 বছরের সুচিত্রার । টোটো নিয়ে শেওড়াফুলি থেকে শ্রীরামপুর এমনকি উত্তরপাড়া পর্যন্ত অবাধ বিচরণ তাঁর ৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন । চারিদিকে শুধুই শুনছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ৷ সংবাদ মাধ্যমে বারবার শুনছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা ৷ তাই তিনি মানুষের কাছে বার্তা দিতে টোটোতে পোস্টার লাগিয়েছেন ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ (Toto Driver of Sheoraphuli Suchitra Das is World Peace Messenger) ৷
শেওড়াফুলির সরকার পাড়ায় বাড়ি সুচিত্রা দাসের । বাপের বাড়ি শ্রীরামপুর ৷ শেওড়াফুলির নিমাই কোলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । শোনপাপড়ির কারখানায় কাজ করতেন নিমাই কোলে ৷ লকডাউনের আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । সেই সময় সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে তাঁর কাছে । স্বামীর পাশে দাঁড়াতে টোটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেন সুচিত্রা দাস ৷ ব্যাঙ্কের জমানো কিছু টাকা থেকে একটি টোটো কেনেন । একসময় অ্যাথলিট হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন সুচিত্রা ৷ 2004 সালে রাজ্য স্তরের ওয়েট লিফটিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ৷ কিন্তু সংসার ও আর্থিক সঙ্কটে খেলাধুলো চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি ৷ আর পড়াশোনা শিখতে পারেনি বলে, সরকারি চাকরিও পাননি ৷