বলাগড়, 2 জুলাই : 2 মে ভোটের ফল বেরিয়েছে । আজ 2 জুলাই । দু'মাস মাত্র সময় অতিক্রান্ত হয়েছে । আর এর মধ্যেই হাঁপিয়ে উঠেছেন হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী । আফশোস করছেন, রাজনীতিতে পা রাখাটাই হয়ত ভুল হয়ে গিয়েছে । ফেসবুকে তাঁর স্বগতোক্তিতে তেমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন নতুন বিধায়ক ।
বলাগড়ের মানুষ তাঁকে ভোটে জিতিয়েছেন । বিধায়ক পদের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন । ভরসা রেখেছেন, বিধায়ক তাঁদের সব প্রত্যাশা পূরণ করবেন । হঠাৎ করে এলাকাবাসীর আশা-ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন মনোরঞ্জন । আর সেই প্রত্যাশার চাপ হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছেন তিনি । রাতে ঘুম আসছে না । মাঝরাতে উঠে পায়চারী করছেন । এত অভাবী, দুঃখী মানুষ... তাঁদের প্রত্যাশা... সেই সব পূরণ করতে পারবেন তো ? এই উৎকণ্ঠাই ঘুম কেড়েছে বিধায়কের । ফেসবুকে এই নিয়ে একটি পোস্টও করেছেন তিনি ।
মানুষের প্রত্যাশার চাপ যে মনোরঞ্জনকে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলছে, তা তাঁর পোস্ট থেকেই স্পষ্ট । ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, "যেন আমার কাছে কোনও জাদুকাঠি আছে, যা দিয়ে তাঁদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি ।" যে ছেলেটা বা মেয়েটা এখনও বেকার, সে আশায় রয়েছে বিধায়ক হয়তো তাঁকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, বা যাঁর ঘর ভেঙে গিয়েছে, তাঁকে হয়ত একটা মাথা গোঁজার জায়গা করে দেবেন বিধায়ক । বাড়ির সামনে সকাল থেকে ভিড়ও হচ্ছে । সকাল থেকে আনাগোনা শুরু হয় মানুষের, রাত 11টা - 12টা পর্যন্ত ভিড় থাকে । এই অভাবী মানুষগুলির হাহাকার কাঁদিয়ে তুলছে বিধায়ককে ।
হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ফেসবুক পোস্ট আরও পড়ুন : নিলর্জ্জের মতো মুকুল বিজেপির বেঞ্চে বসেছিলেন, তোপ দিলীপের
নিজের মতো করে যতটা সম্ভব চেষ্টা করছেন বিধায়ক । কখনও পারছেন, কখনও বা ব্যর্থ হচ্ছেন । যখনই ব্যর্থ হচ্ছেন, তখন নিজেকে অতি তুচ্ছ ও নগন্য একজন মানুষ বলে মনে করছেন । প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার দুঃখ, বেদনা প্রতি মুহূর্তে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে মনোরঞ্জন বিধায়ককে ।