হুগলি, 26 ফেব্রুয়ারি : যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছে একাধিক বাঙালি ছাত্র (Three Students from Hooghly Stranded in Ukraine) ৷ তাদের মধ্যে হুগলির বলাগড়ের জিরাট থেকে কিভে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন সম্বিত দাস ৷ কিভ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সম্বিত ৷ বাবার মুদিখানার দোকান আছে ৷ অনেক কষ্টে ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন তিনি । 2018 সালে পড়তে গিয়েছিলেন তিনি ।
গত মাসে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন সম্বিত ৷ দিন পনেরো দিন আগে ইউক্রেনে ফেরেন ৷ তখনও সেখানে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়নি ৷ কিভ থেকে কিছুটা দূরে ভেরেসনেভা স্টেটে একটি অ্যাপার্টমেন্টে গতকাল পর্যন্ত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছিলেন ৷ একই অ্যাপার্টমেন্টে সম্বিতের সঙ্গে ছিলেন নন্দীগ্রামের শুভাশিষ ভুঁইয়া, মথুরাপুরের অর্ঘ্য মালিক, জয়নগরের অলোক হালদার ৷ বর্তমানে তাঁরা মাটির নিচে মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন (Bengal Students stranded in Ukraine) ৷
সম্বিত বলেন বৃহস্পতিবার যখন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হয়, তখন কয়েকবার বোমা পড়ার শব্দ শোনা গিয়েছিল ৷ ঘর থেকে কেউ বেরতে পারছে না ৷ একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ৷ জানালা দিয়ে আগুনের ফুলকি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ৷ সম্বিতের বাবা সুরজিৎ দাস বলেন, ছেলে যেখানে পড়তে গিয়েছে সেখানে যুদ্ধ চলছে ৷ স্বাভাবিকভাবে ভয় তো হবেই ৷ বাড়িতে আসার পর অনলাইনে ক্লাস চলছিল ৷ চলতি মাসেই ইউক্রেনে যান । ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক । সরকারের কাছে আবেদন করব, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করতে ৷
আরও পড়ুন : Bengal Students stranded in Ukraine : ইউক্রেনে আটকে সোনারপুর ও রায়দিঘির 3 পড়ুয়া, সন্তানের চিন্তায় ঘুম উড়েছে মা-বাবার
আরও একজন হিন্দমোটর রবীন্দ্রনগরের দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায় ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন ইউক্রেনে ৷ তিনিও সেখানে আটকে গিয়েছেন । দেশে ফিরতে পোল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি ৷ পশ্চিম ইউক্রেনের টারনোপিল থেকে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ডের বর্ডার দু’ঘণ্টার দূরত্বে ৷ দেবমাল্যর বাবা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব খারাপ অবস্থায় আছে ওরা ৷ ছেলে বলছে চিন্তা করোনা ৷ ওখানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া সবাই এক সঙ্গে আছে ৷ যা সিদ্ধান্ত হবে তা এক সঙ্গেই হবে ৷ দেবমাল্যর মা মনমিতা বলেন, 2020 সালের ডিসেম্বরে দেবমাল্য ইউক্রেনে যায় ৷ ভাবতে পারিনি এরকম পরিস্থিতি হবে । ছেলের জন্য দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না ৷ তাই চাইছেন যে কোন ভাবে যেন বাড়ি ফিরে আসে ৷