হুগলিতে কোরোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা বেড়ে 79 জন - corona
কোরোনা পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ সব সময় সহযোগিতা করছে। এরফলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরাই । হুগলিতে কোরোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা বেড়ে 79 জন হল।
চন্দননগর, 29 জুলাই : কোরোনা যুদ্ধে প্রথম সাারির অন্যতম যোদ্ধা পুলিশকর্মীরা আজ প্রতিনিয়ত কোরোনায় আক্রান্ত । বেশ কয়েক দিন আগে উত্তরপাড়ার IC কোরোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন । আর গতকাল শ্রীরামপুরের IC সহ দুজন আক্রান্ত হন । এছাড়াও জানা গেছে, ধনিয়াখালি সার্কেলের আপ গাড়ি দপ্তরের আধিকারিক-সহ তিনজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন । এই নিয়ে 16 জন কোরোনা আক্রান্ত শ্রীরামপুর থানায়। এঁরা ছাড়াও চন্দননগর ,ডানকুনি,আরামবাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ।
কোরোনা যুদ্ধে রাজ্য পুুলিশের অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য । বেশিরভাগ সময়়ই এরা PPE কিট ছাড়াই কোরোনা রোগীকে হাসপাতাল ও কোয়ারানটিনে নিয়ে যাচ্ছেন । পাশাপাশি দেখছেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও । ঘরবন্দী মানুষকে শোনাচ্ছেন গানও । প্রয়োজনে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। কখনও আবার কোরোনা আক্রান্তের পাশে থাকা বা কোরোনা মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থাও করছেন।এই সবের মাঝেও কোরোনা সংক্রমিত হয়ে পরিবার থেকে আজ বিচ্ছিন্ন এই সরকারি কর্মীরা।একের পর এক হুগলির বিভিন্ন থানা গুলির পুলিশ কর্মীরা কোরোনা আক্রান্ত।
বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের CP হুমায়ুন কবির বলেন,"কমিশনারেটের মধ্যে পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের আক্রান্তের সংখ্যা 46 জন।তার মধ্যে 13 জন ছাড়া পেয়েছেন।বাকিরা কেউ সেভ হাউসে বা হোম কোয়ারানটাইনে আছেন।এরপরও সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ সব সময় সহযোগিতা করছে।
হুগলির গ্রামীন পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন,"হুগলি গ্রামীনে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 33 জন তাদের 3 জন সুস্থ হয়েছেন।বাকিদের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ব্যবস্থা করে সেভ হাউসে রাখা হচ্ছে।কোরোনা সংক্রমনের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মাস্ক,ফেসসিল্ড ও প্রয়োজন মতো PPE কিট ব্যবহার করা হচ্ছে।তা সত্বেও পুলিশ কর্মীরা কাজের জন্য সংক্রমিত হচ্ছেন। "