সিঙ্গুর, 12 জুলাই : বেশ কিছুদিন অন্তরালে থাকার পর বছর দু'য়েক আগে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গেছিল । বিতর্ক-অভিযোগ সে সময়েও পিছু ছাড়েনি এক সময়ের সিঙ্গুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামনেতা সুহৃদ দত্তের । সেই প্রতাপ-প্রভাব-ক্ষমতা আজ কিছুই নেই বললেই চলে । তবুও সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে পিছপা হলেন না সুহৃদ । এবার অভিযোগ তুললেন তাপসী মালিকের আত্মহত্যাকে খুন হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । শুধু তাই নয়, সেই ঘটনাকে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল ।
সিঙ্গুর জমি আন্দোলন আর তৃণমূল কংগ্রেস নামটা যেন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত । আর CPI(M)-র কথা তো বলতেই হবে । সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের সময় আর যে নামটি প্রচারে এসেছিল তা হল তাপসী মালিক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড । এই ঘটনায় 2006 সালে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বামনেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক । তাঁদের দুজনেরই যাবজ্জীবন হয়েছিল । যদিও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা জামিন পান । CBI তাঁদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায় ।
স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে গেছে সুহৃদের । মাঝে বেশ কিছুদিন প্রায় গৃহবন্দি ছিলেন । এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু তাও সেদিনের কথা ভুলতে পারেননি । তাঁর দাবি, তাপসী হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে । কারণ তিনিই ছিলেন সিঙ্গুরের চাষি ও টাটাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম । এরপরই সেই প্রসঙ্গ তুলে সুহৃদ দত্তের দাবি, "CBI যে চার্জশিট দিয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল তাপসী মালিকের গর্ভপাতের । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাত-দশদিন আগে কাউকে ধর্ষণ করা হলে সে কোনওভাবেই গর্ভবতী হতে পারে না ।" এরপরই তাঁর আরও দাবি, তাপসীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটাও প্রমাণসাপেক্ষ । তাঁর কথায়, "যেভাবে তাপসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল তা দেখে সাধারণভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে ।"