কোন্নগর, 3 এপ্রিল:রবিবার হাওড়ায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে 'ভাইপো'কে 'সবথেকে বড় মাফিয়া' বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ আর সোমবার হুগলিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁর অনুগামীদের 'খোলা ষাঁড়ের মতো' বলে উল্লেখ করলেন তিনি ! রবিবার হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় ৷ সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ কিন্তু, পুলিশ তাঁকে কোন্নগরে আটকে দেয় ! সুকান্তকে বলা হয়, রিষড়ায় 144 ধারা কার্যকর রয়েছে ৷ তাই তাঁরা সেখানে যেতে পারবেন না ৷ অথচ, সুকান্তর কাছে খবর আসে, 144 ধারার আওতায় থাকা এলাকাতেই সকাল থেকে 'ঘুরে বেড়াচ্ছেন' কল্যাণ ও তাঁর অনুগামীরা ! এই খবরেই মেজাজ হারান সুকান্ত ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদে জি টি রোডেই বসে পড়েন তিনি ৷ দীর্ঘক্ষণ চলে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ ৷
রাজ্য সরকারের দাবি, রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে এলাকায় অশান্তি ছড়ানো হয়েছিল ৷ পালটা বিজেপির অভিযোগ, পুরোটাই আসলে রাজ্যের পূর্ব পরিকল্পিত ! এদিন কোন্নগরে অবস্থান বিক্ষোভে বসার পর মোবাইলে বেশ কয়েকটি ছবি দেখান সুকান্ত ৷ সেই ছবিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে এক ব্যক্তিকে দেখান তিনি ৷ দাবি করেন, ওই ব্যক্তি নাকি তৃণমূল সাংসদের ঘনিষ্ঠ এবং তিনি রবিবারের রামনবমীর মিছিলে ছিলেন ! সুকান্তর তত্ত্ব হল, এমন ব্যক্তিদের রামনবমীর মিছিলে ঢুকিয়ে দিয়ে আসলে বাংলার শাসকদলই বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে !