পাণ্ডুয়া, 26 অক্টোবর: শ্মশানে এক কাপালিকের হাতে প্রথম শুরু হয়েছিল এই দেবী আরাধনা ৷ আনুমানিক 400 বছর আগে মনে করা হলেও সঠিকভাবে দেবীর প্রতিষ্ঠান কাল কেউই জানেন না ৷
হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার মন্ডলাই গ্রাম(Story of Pather Kali Puja of Pandua)৷ কথিত আছে, এখান দিয়েই বয়ে গিয়েছিল বেহুলা নদী । সেই নদী তীরেই শ্মশানে ছিল এক কাপালিকের বাস । তিনিই এই পুজো শুরু করেন ৷ জনশ্রুতি আছে ওই কাপালিক এক রাত্রের মধ্যে দীর্ঘাঙ্গী কালী মূর্তি তৈরির পর পুজো করে তা সেই রাতেই বিসর্জন দিতেন ৷ সবটাই করতেন লোকচক্ষুর আড়ালে ৷
আরও পড়ুন :ডাকাত কালী থেকে সিদ্ধেশ্বরী, কীভাবে পরিবর্তিত হলেন 600 বছরের প্রাচীন দেবী ?
তবে হঠাৎ এক বছর এক গৃহী লোক কাপালিকের ক্রিয়াকলাপ দেখে ফেলেন । তারপর তাঁর হাতেই পুজোর সমস্ত কিছু সমর্পণ করে নিজে অন্তর্হিত হয়ে যান কাপালিক । সেই সময় থেকেই উনি পুজো করে আসতেন । তবে কালক্রমে সেই মূর্তি শ্মশান থেকে রাস্তার ধারে প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ দীপান্বিতা অমাবস্যায় পুজো করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ রাস্তার ধারে অধিষ্ঠানের পর থেকেই পথের কালী হিসেবে পরিচিত হন এই দেবী ৷ এখন দেবী মূর্তি তৈরি হয় দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন থেকে । এরপর বিসর্জনের দিন গাড়িতে করে স্থানীয় একটি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় ।
তবে এই মায়ের মাথার উপরে কোনও আচ্ছাদন থাকে না । ছাগ, ছাঁচি কুমড়ো ও আখ বলির প্রথা রয়েছে । চিনি ও সন্দেশের নৈবেদ্য দেওয়ার পাশাপাশি 30 ভরি সোনা ও 50 ভরি রুপোর গয়না দিয়ে সাজানো হয়(Famous Kali in Hooghly District)৷ প্রত্যেক বছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় এখানে কালীপুজো হয় । সঙ্গে হয় পাঁঠা বলি ৷ মানসিক পুজোয় দণ্ডি খাটেন বহু মানুষ ৷ তবে মানসিক করা অনেক ভক্তই মাকে নিজের বুক চিরে রক্ত প্রদান করেন । যা আজও এখানে হয়ে আসছে । আশে পাশের গ্রাম ও জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত আসেন এই পুজোতে ।
আরও পড়ুন :মা কালী যখন দশভূজা ! ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির পুজোয় রয়েছে আরও চমক