শ্রীরামপুর, 25 জুন : রামায়ণে সেতু গড়ার সময় ভাসমান পাথরের উল্লেখ পাওয়া যায় । গঙ্গায় ভেসে আসা পাথর ঘিরে তেমনই গল্প বেঁধেছেন স্থানীয়রা ৷ ঘটনাটি হুগলির শ্রীরামপুরের রায়ঘাটে ৷ শুক্রবার রায়ঘাটের গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ভেসে আসা পাথর দেখতে পায় স্থানীয় দু'টি বাচ্চা । তারা পাথরটি তুলে আনে । খবর পেয়ে এলাকাবাসী ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটে (Stone floating in Serampore Ganga raises curiosity over God Ram Chandra) ।
স্থানীয় যুবক মনোজ সিং এই ঘাটে প্রায় রোজই আসেন ৷ তিনি জানালেন, গঙ্গা থেকে এরকম একটি পাথর তারা তুলে এনেছিলেন ৷ যুবকের দাবি, তাতে 'জয় শ্রীরাম' লেখা ছিল ৷ তারা ওই পাথর তুলে এনে ভিডিয়ো তৈরি করেছেন এবং পরে আবার নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন ৷ এরপর বাচ্চারা ফের পাথর দু'টি তুলে আনে ৷
শ্রীরামপুরে রায়ঘাটে গঙ্গায় ভেসে এসেছে এই পাথর, স্থানীয়দের দাবি এতে 'জয় শ্রীরাম' লেখা ছিল আরও পড়ুন : পেট্রল ড্রিজেলের দাম কমলে 'জয় শ্রীরাম' বলতে রাজি; মন্তব্য কুণালের
পাথর কী ভাবে জলে ভাসতে পারে, এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে এলাকাবাসীর মধ্যে ৷ তাও আবার তাতে 'জয় শ্রীরাম' লেখা ৷ কৌতূহল মেটাতে অনেকেই বাচ্চাদের পাথর জলে ফেলে দেখাতে বলছেন । এর পিছনে অলৌকিক তত্ত্ব অথবা দেবতার মাহাত্ম্যের সন্ধান আবিষ্কার করেছেন বহু ভক্ত ৷
অন্য় দিকে এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য চন্দন দেবনাথ ৷ তিনি বলেন, "পাথর জলে ভাসে না । তবে আয়তনে বড় হলে ভারী বস্তুও জলে ভাসে ৷ যেমন জাহাজ জলে ভাসে । এক্ষেত্রে হয়তো থার্মোকলের উপরে সিমেন্ট দিয়ে ওই ধরনের ব্লক তৈরি করা হয়েছিল ৷ পরে তা গঙ্গায় ভেসে চলে আসে । ঝামা ইট অনেক সময় জলে ভাসে, কারণ তার মধ্যের ছিদ্রে বাতাস থাকে । অনেক সময় প্রদর্শনীতে কর্পূরকে রং করে পাথরের আকার দেওয়া হয় । সেই পাথর ভাঙলেও ইটের গুঁড়ো মনে হয় ।" তাঁর যুক্তি, এই পাথরটির মধ্যেও কোনও ছিদ্র আছে এবং সেখানে বাতাস থাকায় সেটি নদীর জলে ভাসছে ৷