পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

HS Result 2022 : উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের চূড়ায় স্নেহা, চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্নে বাধা অর্থাভাব

মায়ের কষ্টের সফলতা এনেছে চুঁচুড়ার স্নেহা (Sneha Das Succeed in HS Examination 2022 at Chuchura)। দারিদ্রতার মাঝেও উচ্চমাধ্যমিকে 98 শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সে। বাবার মৃত্যুর পর মামার বাড়িতেই মানুষ স্নেহা দাস। আগামিদিনে চাকরি করে মাকে সহযোগিতা করতে চায়। সেই সঙ্গে খুব ভাল আঁকার হাত তার। চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন সেই কোন ছোটবেলা থেকে। কিন্তু ওর কাছে সেটাও ব্যয়সাধ্য ব্যাপার।

HS Result
সুপ্তিদেবীর মেয়ে স্নেহা এবার উচ্চমাধ্যমিকে 471 নম্বর পেয়েছে

By

Published : Jun 17, 2022, 2:33 PM IST

চুঁচুড়া, 17 জুন : ব্যান্ডেলের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা সুপ্তি দেবীর মেয়ে স্নেহা এবার উচ্চমাধ্যমিকে 471 নম্বর পেয়েছে (Sneha Das Succeed in HS Examination 2022 at Chuchura)। তাঁর এই সাফল্যে পরিবার-পরিজনেরা খুব খুশি ৷ কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে স্নেহার পরবর্তী পড়াশোনা চালাতে পারছেন না দাস পরিবার ৷ স্নেহার চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্নেও বাধা হয়েছে দাড়াচ্ছে আর্থিক অবস্থা ৷

স্নেহার বাবা মুম্বইতে জুয়েলারির কাজ করতেন। স্নেহা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন বাবা সুশীল দাসের মৃত্যু হয়। অগত্যা মা ও মেয়ে মামার বাড়িতে চলে আসেন। দাদু সুদর্শন চক্রবর্তী বেঁচে থাকতে খাওয়ার অভাব হয়নি। দাদু, দিদা মা ও মেয়েকে নিয়ে চারজনের সংসার তাঁদের। মাসিরাও সাহায্য করেছেন।

গত বছর দাদুর মৃত্যুতে মাথার উপর থেকে ছাদটা যেন সরে যায় ৷ সংসারের জটিলতা আরও বেড়ে যায়। মা সুপ্তি একটি কলেজ ক্যান্টিনে রান্না করে মাসে আড়াই হাজার টাকা পান। সন্ধ্যায় একটি বস্ত্র বিপণীতে কাজ করে কোনওরকমে স্নেহার পড়াশোনার খরচটা চালান। এ কারণে পড়াশোনার জন্য শিক্ষকরা পড়িয়েছেন টাকা না নিয়েই। কলেজে সে অনার্স নিয়ে ভরতি হয়ে চায় স্নেহা ৷ অনার্সের বিষয়ও আপাতত ঠিক করে রেখেছে সে ৷ তা হল ইতিহাস বা ইংরেজি ৷ মা সুপ্তি দাস তাকে পড়ানোর জন্য শত কষ্ট করতে রাজি রয়েছেন বলে জানান সুপ্তি দাস ৷

মায়ের কষ্টের সফলতা এনেছে চুঁচুড়ার স্নেহা

আরও পড়ুন :সম্বল অদম্য জেদ, থ্যালাসেমিয়াকে হারিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে সফল আসানসোলের অনীশ

স্নেহা ছোট থেকেই মেধাবী তাই তাকে গাইড করতেন চুঁচুড়া বাণী মন্দিরে স্কুলের শিক্ষিকরাও। মেয়ের পড়াশোনা জন্য প্রাণপাত করে সফল হয়েছে মা, সঙ্গে মেয়ে। সুপ্তি বলেন, "আমার বেতন থেকে মেয়ের পড়াশোনা, বাপের বাড়িতে থাকি বোনেরা কিছুটা সাহায্য করে। আমাকে কষ্ট করে চালাতে হবে এখন। আমি চাই ও চাকরি করুক। আঁকার দিকে ভাল হলেও খরচের জন্য যেতে পারছে না। সরকারি সাহায্য পেলে ভাল হয় আমাদের।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details