হুগলি, 8 মার্চ: হুগলিতে আবারও অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যু হল এক শিশুর (Child Died in Adenovirus)। মৃত শিশুর নাম সঞ্চিতা বারিক। ওই মৃত শিশুর বয়স মাত্র ছয় মাস। মগরা পশ্চিম সেখপাড়ার বাসিন্দা সুমন বারিকের মেয়ে সে। বাবা পেশায় টোটো চালক। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝে সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানোর পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাকে 9 দিন পর ছেড়ে দিলেও ফের জ্বর এলে আবার ভরতি করা হয় সঞ্চিতাকে।
সেখান থেকে গত 27 ফ্রেব্রুরারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয়। তখন তার শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল ৷ সেখানে ভরতি করার ন'দিন পর আজ, বুধবার মৃত্যু হয় তার। আগেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তবে পরীক্ষা করার পর দেখা যায় অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইরাস হলেও ডেথ সার্টিফিকেটে অবশ্য মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়া লেখা হয়েছে। সঞ্চিতার বাবা সুমন বারিক বলেন, "চুঁচুড়া থেকে যখন রেফার করা হয় তখন অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজে আইসিইউ-তে ভরতি ছিল। নিউমোনিয়া হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা কিছু হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্ট হতেই এই সমস্যা বাড়ছে। ব্লক হাসপাতাল থেকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে সুস্থ করার। তারজন্য আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেতে বলা হচ্ছে। যাতে সমস্ত রকম আগাম পরিচর্যা করা যায় শিশুদের। জেলা হাসপাতাল ইমামবাড়ায় দু'জন অ্যাডিনো ভাইরাসে পজেটিভ ধরা পড়েছে। সকলকে সচেতন করার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অযথা আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।অ্যাডিনো সংক্রমণ হওয়ার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ফের শহরে শিশু মৃত্যু, ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক
উল্লেখ্য, মূলত গরমকাল পড়লে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায়। তবে এবছর তা দেখা যাচ্ছে না। তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চিকিৎসকরা। পাঁচের ঊর্ধ্বে শিশুদের মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে। বড়দেরকেও সাবধান করে হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনে মিটিং হয়েছে একাধিকবার। পরিদর্শনেও যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। মুখমন্ত্রী নিজেও এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন। অযথা আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামরেশ দিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর কথায় রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিষেবা রয়েছে ৷ তবে আপাতত রাজ্য়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে অসুখে শিশু মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত ৷