সুফল বাংলার বিপণিতে নিরাপত্তা রক্ষীর মৃতদেহ চুঁচুড়া, 18 ফেব্রুয়ারি: সুফল বাংলা বিপণি থেকে নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য চুঁচুড়ায় ৷ জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ সন্তু (40) । তিনি চুঁচুড়া হোসেনগলির বাসিন্দা ৷ গতকাল রাতেও তাঁকে বিপণিতে দেখা গিয়েছে ৷ তিনি পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ শনিবার সকালে সুফল বাংলার কর্মচারীরা বিপণি খুলতেই দেখে মৃতদেহ পড়ে আছে ৷ এরপর চুঁচুড়া থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায় ৷ সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ সন্তু গত পাঁচ বছর ধরে বড়বাজারে সুফল বাংলার বিপণিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করছিলেন ৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ শেখ সন্তুর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷
নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করার পাশাপাশি তিনি টোটো চালাতেন ৷ শনিবার রাতে টোটো চালিয়ে বিপণিতে আসেন সন্তু ৷ তারপর সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁর এক আত্মীয় জানান, এর আগেও একবার সুফল বাংলায় শেখ সন্তুকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ বছরখানেক আগে রড দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেবার তিনি প্রাণে বেঁচে যান ৷ এবার তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবার ৷
আরও পড়ুন:সেক্টর ফাইভে নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু, তদন্তে পুলিশ
সুফল বাংলার দ্বিতলটি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় ৷ সেখানে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না-থাকায় ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার ৷ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মিলন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন শেখ সন্তু । তিনি মাঝে মাঝে তৃণমূলের পার্টি অফিসে আসতেন ৷ সুফল বাংলার পাশেই তৃণমূল অফিস সেখানে আসতেন, বসতেন ৷ কী হয়েছিল, কী করে মারা গেল সেটা আন্দাজে বলা মুশকিল ৷" তবে জানা গিয়েছে, শেখ সন্তুর হাত-পায়ে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ দেহে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে ৷