পাণ্ডুয়া, 10 মে : লোকসভায় হুগলি থেকে হেরে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কথা দিয়েছিলেন ফিরিয়ে আনার ৷ কথা রেখেছিলেন নেত্রী । তাঁর ভরসার মান রেখেছেন রত্না দে নাগ । বামগড় হিসাবেই পরিচিত পাণ্ডুয়ায় দীর্ঘ 44 বছর পর পরিবর্তন । 2021-এর বিধানসভা ভোটে রত্না দে নাগের হাত ধরে ঘাসফুল ফুটল ৷ বিধায়ক হওয়াটা তাঁর কাছে নতুন না ৷ 2001 ও 2006 সালে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি ৷ অন্যদিকে 2019 সালে লোকসভা ভোটে তিনি হেরে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ৷
রাজনীতিকে মানুষের সেবার জন্য বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন রত্না দে নাগ তিনি পেশায় চিকিৎসক ৷ মানুষের সেবা আগে থেকেই করতেন। এখনও মুমূর্ষু রোগীদের বিনা খরচায় চিকিৎসা করেন ৷ মন্ত্রীত্ব পেয়ে জেলা নয় রাজ্যের মানুষের জন্যও কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন ফিরিয়ে আনবেন। সেই কথা বলতে গিয়ে আবেগী হয়ে বললেন," মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি ঋণী ৷ তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন ফিরিয়ে আনার ৷ অনেক ধন্যবাদ তাঁকে ও পাণ্ডুয়াবাসীকে ৷ আগামী দিনে মন্ত্রীত্ব পেয়ে রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি বিশেষ নজর দেব পাণ্ডুয়ার উন্নয়নের দিকে ৷ "
এবারের বিধানসভা ভোটে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছেন পাণ্ডুয়ার বাম প্রার্থী ৷ সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন," রাজনীতিকে রাজনীতির মতো দেখি না ৷ মানুষের সেবা করার জন্যই বেছে নিয়েছি ৷ তাই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না ৷ "
আরও পড়ুন :লক্ষ্মী'র জুতোয় পা গলিয়ে মন্ত্রী মনোজের নতুন ইনিংস
কংগ্রেসী আমলে মন্ত্রী গোপাল দে নাগের মেয়ে রত্না দে নাগ। বাবার পর আবার তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন। সেই স্মৃতি চারণ করে শ্রীরামপুরে নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলেন," 2019 এর লোকসভাতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হারের পর ভেঙে পড়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন ফিরিয়ে নিয়ে আসার। এবার মন্ত্রীত্ব পেলাম ৷ বাবা থাকলে খুব খুশি হতেন। "