চন্দননগর, 18 ফেব্রুয়ারি: বিরোধীরা সংখ্যা কম হলেও দায়িত্ব বেড়ে গেল । অসমাপ্ত কাজ শীঘ্রই সম্পন্ন হবে ৷ চন্দননগর পৌরনিগমের মেয়র (Mayor Of Chandannagar) পদে নির্বাচিত হয়ে এই প্রতিক্রিয়াই দিলেন রাম চক্রবর্তী । শুক্রবার সন্ধ্যাতেই মেয়র পদে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এই নিয়ে তিন বার চন্দননগরের মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি ৷
স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কারণেই তাঁকে ফের মেয়র পদে বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করা হচ্ছে ৷ 2005 সালে রাম চক্রবর্তী চন্দননগর পৌরনিগমের বিরোধী দল নেতা ছিলেন । প্রথমে কংগ্রেস করলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি ৷ গত 12 ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয় চন্দননগরে ৷ 33টি ওয়ার্ডের মধ্যে 32টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল ৷ 17নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত রাখা হয় সেখানে ৷ এই 32টি ওয়ার্ডের মধ্যে 31টিতে জয়ী হয় তৃণমূল । রাম চক্রবর্তী 30 নম্বর ওয়ার্ড থেকে 1 হাজার 816 ভোটে জয়ী হয়ে 6 বারের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হন ।
নাগরিক পরিষেবায় জোর, ফের চন্দননগরের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে বললেন রাম চক্রবর্তী কলেজে ছাত্র রাজনীতি করলেও 1995 সালে প্রথম কংগ্রেসের হয়ে এই 30 নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি । তৃণমূলে যোগ দিয়ে 2000 সালেও তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন ৷ 2005 সালে ফের জিতে বিরোধী দলনেতা হন চন্দননগর পৌরনিগমের । 2006 সালে চন্দনননগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূ্লের প্রার্থী ছিলেন তিনি ৷ কিন্তু প্রায় 17 হাজার ভোটে সিপিএমের শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন । 2010 সালে চন্দননগরের মেয়র পদে বসেন ৷ 2015 সালে ফের তাঁকেই মেয়র পদে বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ 2018 সালে চন্দননগর পৌরনিগমের বোর্ড ভেঙে দিয়ে পৌর প্রশাসক নিয়োগ করে নবান্ন ৷
আরও পড়ুন : নির্বাচনে প্রার্থী না-হয়েও আসানসোলের মেয়র বিধান, জন্মদিনের সেরা উপহার
এবার ভোটে জিতে ফের চন্দননগরের মেয়র নির্বাচিত হলেন রাম চক্রবর্তী । ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাম চক্রবর্তী বলেন, "পৌরনিগমে জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করেছি । ধন্যবাদ দলনেত্রীকে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য । নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া হবে প্রথম কাজ । চন্দননগরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে গত দশ-এগারো বছরে । উড়ালপুল থেকে জল প্রকল্প, নাগরিক স্বাচ্ছন্দ অনেক বেড়েছে । শহরকে আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে । সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে । আলো হাব হয়েছে । চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ যাওয়ার জন্য একশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তার কাজ শুরু হবে । মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা চন্দননগরবাসী পাচ্ছে । আমাদের কাজ হবে সেই পরিষেবা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেটা দেখা ।"