চুঁচুড়া, 27 নভেম্বর : নিখোঁজ পুলিশ আধিকারিকের দেহ উদ্ধার । গত 11 অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাজারহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর (Missing Rajarhat Police SI found at morgue) পার্থ চৌধুরী (46) । প্রাথমিক অনুমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি । তবে এই মৃত্যুর পিছনে মানসিক চাপকে দায়ী করছেন পরিচিতরা ৷
পার্থ চৌধুরীর মা ও ভাই থাকেন চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে । তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বেলুড়ে একটি আবাসনে থাকতেন । দুর্গাপুজোয় ষষ্ঠীর দিন বেলুড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি । পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও লাভ হয়নি । থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয় । সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্থবাবুর ছবি দিয়ে ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর মা ৷ অবশেষে মাসখানেকেরও বেশি সময় পর জানা যায় নিখোঁজ এসআইয়ের দেহ রয়েছে হাওড়া পুলিশ মর্গে (Howrah Police Morgue) ৷ খবর পেয়ে রবীন্দ্রনগরে পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে শোকের ছায়া নামে । কিন্তু এভাবে কেন মারা গেলেন এসআই পার্থ চৌধুরী, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি পরিবারের সদস্যরা ৷
আরও পড়ুন : SI Death Controversy : এসআই-এর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর, অন্য পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে সন্দেহ
গত 20 অক্টোবর বালি ব্রিজের কাছ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে বালি থানার পুলিশ । হাওড়া পুলিশ মর্গে দেহটি রাখা ছিল । এদিকে রাজারহাট থানা নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত শুরু করে বিভিন্ন থানায় অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহের সন্ধান করতে থাকে ৷ পরে তারা জানতে পারে বালি থানার পুলিশ এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং তা হাওড়া পুলিশ মর্গে রয়েছে । জানা যায় দেহটি নিখোঁজ এসআই পার্থ চৌধুরীর । পুলিশের তরফে পার্থবাবুর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয় । গতকাল হাওড়া মর্গে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন ।
ঘটনার খবর পেয়ে কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস মৃত এসআইয়ের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান । প্রধান বলেন, "বেলুড় স্টেশনের কাছ থেকে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছে । চিকিৎসক জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ আধিকারিকের । পার্থর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি ছিল, তা নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ।"