হুগলি, 8 এপ্রিল: রিষড়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন প্রবীর দত্ত ৷ শনিবারই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় ৷ আর শনিবারই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি ৷ মনে করা হচ্ছে, রিষড়ায় সদ্য ঘটে যাওয়া অশান্তির জেরেই প্রবীরকে এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ 'বিশেষ দায়িত্ব' বলার কারণ হল, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির পরই জরুরি ভিত্তিতে এই পদটি তৈরি করা হয় ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিষড়া থানার ওসির কাজে পর্যবেক্ষণ চালাতেই সার্কেল ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এই পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবীর দত্ত এর আগে হুগলির চুঁচুড়া-সহ বেশ কয়েকটি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা ওসি ছিলেন ৷ তাছাড়া, রিষড়া থানাতেও কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ৷ 2016 সাল থেকে 2021 সাল পর্যন্ত তিনি এই থানায় ছিলেন ৷ তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, রিষড়া থানা এলাকাটি আকারে ছোট ৷ ফলে এই এলাকার অলিগলিও প্রবীরের চেনা ৷ এতে তাঁর পক্ষে কাজ করা সহজ হবে ৷ সেই কারণেই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট তাঁকে রিষড়ার সিআই পদে নিযুক্ত করেছে ৷
সাধারণত, একজন সিআইয়ের নজরদারির অধীনে একাধিক থানা থাকে ৷ কিন্তু, এই মুহূর্তে রিষড়ার পরিস্থিতি কিছুটা ব্যতিক্রমী ৷ এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে ৷ তাই আপাতত প্রবীর শুধুমাত্র রিষড়া থানা এলাকাতেই দায়িত্ব পালন করবেন ৷ গত রবিবার ও সোমবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে তাঁকে ৷ এই কাজে রিষড়া থানার ওসিকে সহযোগিতা করবেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, রিষড়া থানাটি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন ৷ এই কমিশনারেটের অধীনে মোট সাতটি থানা রয়েছে ৷ যার মধ্যে একমাত্র রিষড়া থানাতেই ওসি পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন ৷ বাকি সবক'টি থানার দায়িত্বে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইসি-রা ৷
আরও পড়ুন:ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেও আতঙ্কিত রিষড়ার মানুষ
উল্লেখ্য, গত রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে এলাকায় অশান্তি ছড়ায় ৷ সেই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য রিষড়া ছাড়াও আশপাশের থানা থেকে বাহিনী আনা হয় ৷ অশান্তির ঘটনায় জখম হন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালী বিশ্বাস ৷ এছাড়াও আহত হয়েছেন শ্রীরামপুর থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস-সহ আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী ৷ এর পরদিন, অর্থাৎ গত সোমবারও ফের উত্তপ্ত হয় রিষড়া ৷ এই প্রেক্ষাপটে রিষড়া থানার ওসির কাজে তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি সার্কেল ইনস্পেক্টর পদ গঠন করা হয় ৷