উত্তরপাড়া, 13 অগস্ট: ‘‘ঘটি-বাঙাল যুদ্ধ শুরু ৷ ডার্বি জ্বরে কাঁপছি গুরু ৷’’ এই গানেই মেতেছে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ৷ ডার্বির 24 ঘণ্টা পরেও তার উত্তাপ রয়ে গিয়েছে ৷ আর এই ডার্বি নিয়ে মিউজির ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন হুগলি উত্তরপাড়ার সৌম্যদেব মিত্র এবং তাঁর টিম ৷ এই মিউজিক ভিডিয়োর নামও রাখা হয়েছে- ‘ডার্বি’ ৷ তাঁর সেই গানই এখন ইউটিউবের হিটলিস্টে রয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়াতেও ভাইরাল সেটি ৷
মরশুমে প্রথম ডার্বিতে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ৷ তার মধ্যেই সৌম্যদেব মিত্রের গান আলাদা উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে ৷ যদিও গানটি ডার্বি ম্যাচের আবহ ও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দুই দলকে নিয়ে তৈরি ৷ তাও ডার্বি শেষ হওয়ার 24 ঘণ্টা পরেও সেই গান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকদের মুখে মুখে ৷ সৌম্যদেব মিত্র জানালেন, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি করেছেন ৷ আর একজন ফুটবল প্রেমী হিসেবে তিনি চান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের এই উন্মাদনা যেন চিরকাল বজায় থাকে ৷
গানের কথায়, ডার্বি জ্বরের পাশাপাশি, চিংড়ির মালাইকারি, ইলিশের ঝোল, পালতোলা নৌকো, লাল-হলুদ মশালের মতো শব্দগুলিকে খুব যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন গীতিকার পিয়াস প্রীতম বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে, এই গান যাঁর কণ্ঠে সেই সৌম্যদেব পেশায় একজন কেমিস্ট ৷ উত্তরপাড়ায় এক ওষুধের দোকান রয়েছে তাঁর ৷ তার বাইরে গান-বাজনা করা সৌম্যদেব মিত্রের নেশা ৷ তাই বন্ধুদের সঙ্গে অবসর সময়ে সেটাই করেন ৷ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হলেও দুই দল তার কাছে সমান উন্মাদনার বলে জানান সৌম্য ৷