চুঁচুড়া, 7 জুলাই: চুঁচুড়ায় বিজেপির মিছিলে লাঠি দিয়ে চড়াও হয়ে বিতর্কে জড়ান শাসক দলের বিধায়ক । এই ঘটনা ঘিরে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা (Political Debate in chinsurah)। তৃণমূল বিধায়ককের দাবি, বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে তাঁকে কুকথা বলে । শুধু তাই নয়, তাঁর উপর হামলাও চালানো হয় । এরপরই কর্মীদের মারধর করেন তিনি । তাতেই জেলা জুড়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী নেয় বিজেপি (BJP is protesting against the conduct of TMC MLA)। পালটা তৃণমূলও কালা দিবস পালন করে চুঁচুড়ায় । বিধায়ক পরিষ্কার জানিয়েছেন মেয়েদের গায়ে হাত দিলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না । কিন্তু বিজেপির দাবি তাদের মিছিলেই প্রথম হামলা চালান শাসকদলের বিধায়ক । অথচ তাদেরই গ্রেফতার করা হল ! রাজ্যে কী ধরনের গণতান্ত্রিক ব্য প্রশ্ন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাও । রবিবারের প্রতিবাদে জেলায় আসছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
চুঁচুড়া খাদিনামোড় থেকে কালা মিছিল থেকে চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "বিজেপি যদি আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দেয়, তাহলে আমি চুপ করে বসে থাকব না । আমার মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে । অন্যায় ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চোর চোর স্লোগান দিচ্ছিল, আমার নামে, তপন দাশগুপ্তর নামেও স্লোগান দিচ্ছিল । ওদের এই অধিকার কে দিয়েছে ? ওদের ইডি, সিবিআই আছে যা খুশি দিয়ে প্রমাণ করুক । প্রমান ছাড়া চোর বলবে, প্রমাণ ছাড়া মেয়েদের গায়ে হাত তুলবে আর আমি চুপ করে থাকব? " বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক ।"
chinsurah MLA Controversy : কেন আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি কর্মীদের ? জানালেন বিধায়ক নিজেই - Political Debate in chinsurah
বিজেপির মিছিলে চড়াও হয়ে হামলা চালান তৃণমূল বিধায়ক। সেই ঘটনা ঘিরে চরমে উঠল রৈজনৈতিক তরজা (Political Debate in chinsurah)। তৃণমূল বিধায়ককের দাবি, বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে কুকথা বলে । স্বভাবতই এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: চুঁচুড়া শুটআউটে পুলিশের মুখে কুলুপ
স্বভাবতই তৃণমূল বিধায়ককে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ । তিনি জানান, চুঁচুড়ার বিধায়কের নেতৃত্বে যে ধরনের ঘটনা ঘটল তা সারা দেশ দেখল । পশ্চিম বাংলার গণতন্ত্র এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে বিধায়ককে লাঠি হাতে বিজেপি মিছিলে আক্রমণ চালাতে হচ্ছে । বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন । হুগলি জেলার সহ-সভাপতি রাজিব নাথ তার বাড়িতেও আক্রমণ চালানো হয়েছে । যারা গণতন্ত্রের কথা চিৎকার করে বলে এটা কী সেই ধরনের গণতন্ত্র ? তাঁর কথায়, "প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করল । বিজেপির ছেলেদের আটক করা হয়েছে । তাই বাধ্য হয়েই আমরা বিভিন্ন পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ করছি সারা জেলা জুড়ে । যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে । না হলে আমরা আরও বড় বৃহত্তর আন্দোলনে যাব ।"