চুঁচুড়া, 8 মে : ঔরঙ্গাবাদের ঘটনার পর আরও তৎপর হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন । ইতিমধ্য়েই হুগলিতে আসা বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকরা নিজেদের উদ্যোগেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। কেউ হেঁটে, কেউ বা সাইকেল । শ্রমিকদের এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রাকে আটকাতে তৎপর হল পুলিশ । আজ হুগলির নানা জায়গায়, জাতীয় সড়কে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেওয়া শ্রমিকদের ফেরাতে তৎপর পুলিশ
আজ দু'নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঘরমুখী হয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । তাঁদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ । পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল বর্ধমানের পালসিটের কাছে পৌঁছে যায় । সেখান থেকে তাঁদের গাড়ি করে ডানকুনিতে নামিয়ে দেওয়া হয়।
লকডাউনের জেরে প্রায় মাস দেড়েক কাজ বন্ধ । তাই ভিনরাজ্যে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন । খাওয়া, থাকা, অর্থাভাব নানা সমস্য়ায় জর্জরিত তাঁরা । তাই কেউ সাইকেলে, কেউ হেঁটে রওনা দিয়েছেন বাড়ির পথে । আজ ঔরঙ্গাবাদের ঘটনাও ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের নিয়ে সরকারের ভূমিকার উপর প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করেছে । এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা যাতে কোনও ভুল পদক্ষেপ না করেন, তা নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন । আজ দু'নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঘরমুখী হয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । খবর পেয়েই তাঁদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ । পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল বর্ধমানের পালসিটের কাছে পৌঁছে যায় । সেখান থেকে তাঁদের গাড়ি করে ডানকুনিতে নামিয়ে দেওয়া হয়। সিঙ্গুর থেকে বর্ধমানমুখী একটি দলকেও ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। ডানকুনিতেও অনেক শ্রমিককে থামিয়ে, এভাবে ঘরে ফিরতে নিষেধ করে পুলিশ। তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে ডানকুনির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
এবিষয়ে, হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, "এরাজ্যে অন্যান্য জেলার যে সমস্ত শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন এখনও তৈরি হয়নি । তাই একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরতে বারণ করা হয়েছে। আমরা আপাতত খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আর আলোচনা করছি, যাতে তাঁদের বাড়ি ফেরানো ব্যবস্থা করা যায়।