চুঁচুড়া, 9 জুন :গরমের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে পাত পেড়ে চলছে পান্তাভোজ (Panta Utsav celebration in chuchura)৷ হুগলির চুঁচুড়ায় আগের মতো এখনও পালন হচ্ছে পান্তা উৎসব ৷ গত দু'বছর ধরে বন্ধ থাকলেও এবছর আবারও এই উৎসবের চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই উৎসবে সামিল হতে বেশ কিছু মানুষ কলকাতা থেকে এসছেন। এমনকী ভিন রাজ্যে থেকেও এই উৎসবে মেতেছেন মানুষজন ৷
এমনকী তাঁরা জানিয়েছেন এই উৎসব আগামিদিনে ওই রাজ্যে যাতে করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা নিচ্ছেন। এদিনের পান্তা উৎসবের মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, গন্ধরাজ লেবু, আলু ভাতে, কাঁচা লঙ্কা, ভাজা শুকনো লঙ্কা, কাঁচা পিঁয়াজ, ডাল বড়া, পিঁয়াজি, মাছের ডিমের বড়া, পাবদা মাছের ঝাল, মৌরলা মাছের চচ্চড়ি, মাছের মাথা দিয়ে ছ্যাঁচড়া, কাতলা কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়, হিমসাগর আম, কাঁঠাল এবং শেষপাতে আইসক্রিম।
আরও পড়ুন :তিনদিনের নজরুল উৎসব শুরু চুরুলিয়ায়
এদিনের পান্তা ভোজে 19 রকম পদ পরিবেশন করা হয়। চুঁচুড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যর উদ্যোগে পালিত হয় এই পান্তা উৎসব। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি খাবার পরিবেশন করেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যের কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, "বর্ষার আহ্বানে বারো বছর আগে শুরু হয়েছিল পান্তা উৎসব। তারপর থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পান্তা উৎসব। গত দুই বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল এই উৎসব। আবার জাঁকজমক করে এবছর অনুষ্ঠিত হল। ছ'শো জনের পাত পরে পান্তা উৎসবে। আরোগ্যর ফেসবুক পেজ দেখে ঝাড়খণ্ড, হায়দরাবাদে, দমদম, বেহালা থেকেও লোকজন এসেছেন। পান্তা উৎসবের পর বৃষ্টি নামবে কি না, সেটা ভবিষ্যত বলবে। তবে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আরোগ্যর সদস্যরা জানান, প্রচণ্ড গরমে পান্তা খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। শরীর ঠান্ডা রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন। বৃষ্টি নামার জন্য পান্তার আয়োজন।"
চুঁচুড়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রায় দশ বছর ধরে এই পান্তা উৎসব এখনও পালন করে আসছে আরও পড়ুন :এবার বসন্তের রংয়ে লন্ডন মাতাবেন সৌরভ পত্নী ডোনা
হায়দরাবাদ থেকে আসা সোমা নন্দী বলেন, "কর্মসূত্রে আমি রাজ্যের বাইরে থাকি। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমি জানতে পারি এখানে পান্তা উৎসব হয়। তাই চলে এসেছি। আগে ধারণা ছিল পান্তা ভাত ও আলুভাতে দিয়ে হয়তো হবে। কিন্তু এখানে এসে দেখি 19টি পদ রয়েছে। হায়দরাবাদে বাঙালি এলাকায় এই ধরনের অনুষ্ঠানে আয়োজনের কথা চিন্তা করছি আমরা।"