পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোভিড প্রশিক্ষণ না থাকায় চাকরি হারাচ্ছেন আয়ারা, বিক্ষোভ

গত বছরই এই হাসপাতালেরই সিভিয়র এ্যাকিউট রেসপিটরি ইনফেকশনস বা সারি (SARI) ওয়ার্ডে কাজ করেছেন তাঁরা । এই ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের রাখা হত ৷ এই বছর সেই হাসপাতলেরই করোনা ওয়ার্ডে আর কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না আয়াদের ৷ কাজ হারিয়ে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে চন্দননগর করোনা হাসপাতালের আয়াদের ৷ কাজ চেয়েও পাচ্ছেন না তাঁরা ৷ এই অবস্থায় বিক্ষোভের রাস্তা বেছে নিলেন আয়ারা ৷ তবে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার জন্য আয়াদের এই করোনা ওয়ার্ডে কাজ করানো কোনও মতেই সম্ভব নয় ৷

চন্দননগরে আয়াদের বিক্ষোভ ৷
চন্দননগরে আয়াদের বিক্ষোভ ৷

By

Published : Apr 29, 2021, 8:27 PM IST

চন্দননগর, 29 এপ্রিল: করোনা হাসপাতালে কাজ করতে চাইলেও অনুমতি দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর ৷ অনুরোধ করেও কোনও ফল হয়নি, তাই পেটের তাগিদে এবার বাধ্য হয়ে আয়ারা অবস্থান করলেন চন্দননগর করোনা হাসপাতালে । তবে পাল্টা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যুক্তি, আয়াদের প্রশিক্ষিণ এবং সরকারি স্বীকৃতি নেই ৷ তাই কোনও ভাবেই তাঁদের করোনা ওয়ার্ডে কাজ করতে দেওয়া সম্ভব নয় ৷

কাজ পাওয়ার আশায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চন্দননগর হাসপাতালে সুপার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান আয়ারা ৷ তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে কাজ করেছেন তাঁরা ৷ কিন্ত এখন হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড হওয়ায় তাঁঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না । করোনা রোগীরা ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না । তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না । তাঁরা হাসপাতাল সুপার ও সিএমওএইচকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি । তাই বাধ্য হয়ে এদিন অবস্থানে বসেছেন । তাঁরা কাজ চান ৷ যেকোন শর্ত সাপেক্ষেই কাজ করতে রাজি আছেন তাঁরা । গত বছরও চন্দননগর হাসপাতালের সিভিয়র এ্যাকিউট রেসপিটরি ইনফেকশনস বা সারি (SARI) ওয়ার্ডে কাজ করেছেন তাঁরা । এখানে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের রাখা হত ৷ কিন্তু তাঁদের আর করোনা ওয়ার্ডে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের ৷ অভিযোগ, একই অবস্থা আরামবাগ হাসপাতালেও । বেশ কিছু দিন ধরে আরামবাগেও অবস্থানে বসেছেন আয়ারা ।

কাজ ফেরতের আশায় চন্দননগরে আয়াদের বিক্ষোভ ৷

চন্দননগর হাসপাতালের সুপার রঞ্জন কুমার দে বলেন, "প্রোটোকল অনুযায়ী কোনও ভাবেই আয়াদের কাজ করানো যাবে না । জেলা স্বাস্থ্য দফতর যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে ।" হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, "আয়ারা প্রশিক্ষিত ও সরকারি স্বীকৃত নন । তাই কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করতে দেওয়া সম্ভব নয় । এক্ষেত্রে আমাদের কোনও করণীয় নেই ।"

চন্দননগর হাসপাতালে মোট 180টি কোভিড শয্যা তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে 150টি সাধারণ শয্যা ও 30টি ক্রিটিক্যাল শয্যা আছে । আপাতত সেখানে একশোর উপর করোনা রোগী ভর্তি আছে । এই রোগীদের পরিচর্যার জন্য যতজন স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন তা নেই ৷ তাতে রোগীদের খাওয়ানো থেকে সমস্ত রকম কাজ করতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৷ এই পরিস্থিতিতে আয়াদের দাবি, তাঁরা করোনার মধ্যেও কাজ করতে রাজি ৷ তাতে করোনা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা সকলেই সহযোগিতা পাবেন । এর দাবিতেই চন্দননগরে এদিন প্রায় একশো জন আয়া এই অবস্থানে শামিল হয়েছেন ।

আরও পড়ুন: দাম কমল কোভ্য়াকসিনের, 600 টাকার বদলে 400 টাকায় টিকা পাবে রাজ্য

ABOUT THE AUTHOR

...view details