হুগলি, 22 অগস্ট : 1905 সালে অক্টোবর মাসে ব্রিটিশ শাসনে লর্ড কার্জনের তৎপরতায় বঙ্গভঙ্গের মতো ঘটনা ঘটেছিল ভারতের ইতিহাসে ৷ বাংলাকে দু’ভাগ করে দেওয়ার এই জঘন্য পদক্ষেপের প্রতিবাদে সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে রাখিবন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ সেই রাখিবন্ধন উৎসবের আবহে ফের একবার বঙ্গভঙ্গের মতো অভিশপ্ত শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে বাংলার বাতাসে ৷ সৌজন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে বাংলা ভাগ হলে তার জন্য তৃণমূল দায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন ৷
কিন্তু তৃণমূলকে দায়ী করতে চাইলেও, দিলীপ ঘোষের বঙ্গভঙ্গের দাবিকে সমর্থন রাজ্য বিজেপিকে ফের একবার অস্বস্তিতে ফেলে দিল ৷ আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল ৷ বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ধুলিসাৎ করার পর, গেরুয়া বাহিনীকে আরও কোণঠাসা করতে দিলীপ ঘোষের বঙ্গভঙ্গের সমর্থনকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা ৷ আজ রাখিবন্ধন উৎসব উপলক্ষ্যে শ্রীরামপুরের গান্ধি ময়দানে যান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষের ভবিষ্যতের দায়ভার তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার নিয়েছে ৷ দিলীপ ঘোষ বা বিজেপিকে সে নিয়ে ভাবতে হবে না ৷ আর দিলীপ ঘোষ বাংলাকে দু’ভাগ করতে এলে তিনি নিজেই ভাগ হয়ে যাবেন ৷’’
শুধু তাই নয় ৷ এদিন শ্রীরামপুর গান্ধি ময়দানে রাখিবন্ধন উৎসবের পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর আয়োজনও শুরু হয়ে গেল আজ থেকে ৷ সেখানে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনার প্রস্তুতি শুরু হয় ৷ এ নিয়েও দিলীপ ঘোষ তথা বিজেপিকে একহাত নেন কল্যাণ ৷ তিনি বলেন, ‘‘কোভিডবিধি মেনে এবারেও দুর্গাপুজো করছে শ্রীরামপুর গান্ধি ময়দনা পুজো কমিটি ৷ সবরকম আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজো পালিত হবে ৷’’ তাই দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির সকল নেতানেত্রীদের সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কল্যাণ ৷ সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপি সবসময় বলে বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না ৷ তাই দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা এসে দেখে যান, বাংলায় কেমন ধুমধামের সঙ্গে দুর্গাপুজো হয় ৷’’