বৈদ্যবাটি, 8 নভেম্বর:বাড়ির গেটের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছেন 29 বছরের যুবক কার্তিক ৷ মা নিজের হাতে ছেলের পায়ে শিকল পরিয়ে দিচ্ছেন(Mother Seeks Help to Get Treatment for Chained Son)৷ কষ্ট হলেও উপায় নেই যে ৷ অমানবিক এই দৃশ্য চোখে পড়বে হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভার 14 নং ওয়ার্ডের খরপাড়া লেনে(News of Baidyabati Hooghly)৷
আগে বেশ ভালোই চলছিল ৷ করোনার আগে কার্তিক টোটো চালাতেন আর বাড়ি বাড়ি কাজ করে রোজগার করতেন সুলতা দেবী ৷ মা-ছেলে দু'জনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল ৷ কিন্তু করোনার সময় টোটো ভাড়া বন্ধ হয়ে যায় ৷ তারপর থেকেই টান পড়তে শুরু করে সংসারে ৷ এরপর হঠাৎ করেই ভারসাম্যহীনের মতো বাড়ির জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া, অকারণে চিৎকার করা এইসব করতে শুরু করেন কার্তিক ৷ দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না-পেয়ে অবশেষে থানায় ডায়েরি করেন সুলতা দেবী ৷ এই ঘটনার দিন কুড়ি পর হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসেন কার্তিক ৷ সুলতা দেবী লক্ষ্য করেন আগের থেকেও বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাঁর ছেলে ৷ ঘরে বন্ধ করে রাখলে চিৎকার করে, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে ৷ পাড়া-প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ছেলেকে শিকলে বাঁধতে শুরু করেন মা ৷ দু'টি বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার আগে ছেলে বেঁধে রেখে যান তিনি ৷