পোলবা (হুগলি), 24 মে: 12 বছর আগে টাইফয়েড হয় হুগলির পোলবার কালারা গ্রামের মহসিনা খাতুনের ৷ তার জেরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার শক্তি হারিয়েছে সে ৷ দরিদ্র খেত মজুরের মেয়ে মহসিনা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় থার্ড ডিভিশন নম্বরে পাশ করেছে ৷ তার প্রাপ্তনম্বর 245 ৷ কাশ্বাড়া ইয়াসিন মণ্ডল শিক্ষানিকেতন স্কুলে ছাত্রী সে ৷ তবে, এটা তার কাহিনী নয় ৷ এমনকি ডান হাতের জোর হারিয়েছে মহসিনা ৷ বাঁ-হাতে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে সে ৷ এমনকি বাড়তি সময় বা কোনও সুযোগ পরীক্ষার কেন্দ্রে পায়নি ৷ আর তাতেই 245 নম্বর পেয়েছে মহসিনা ৷ দারিদ্রের কারণে কোনও গৃহশিক্ষক রাখতে পারেনি মহসিনার বাবা শেখ কালাম ৷
12 বছর আগে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছে মহসিনা খাতুন ৷ স্কুলে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা তার বাবা শেখ কালাম ৷ কিন্তু, তিনি খেত মজুর হওয়ায় রোজ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারতেন না ৷ তাও যে কদিন স্কুলে যেত, সেই দিনগুলিতে মহসিনা ক্লাসের পড়াশোনাগুলি বন্ধুদের থেকে যেনে নিত ৷ এভাবেই সে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৷ স্কুলের পড়াশোনাকেই বাড়িতে এসে ঝালিয়ে নিত সে ৷ কারণ, তাঁর বাবার সামর্থ ছিল না গৃহশিক্ষক দিয়ে পড়াশোনা করানোর ৷
বর্তমানে মহসিনা খাতুনের চিকিৎসা চলছে ৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন 1 হাজার টাকা করে খরচ পড়ে ৷ কিন্তু, টাকার অভাবে মহসিনার নিয়মিত চিকিৎসা করতে পারছেন না শেখ কালাম ৷ মহসিনার মা চিকনের সেলাইয়ের কাজ করে ৷ বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে সেলাইয়ের কাজে সেও হাত লাগায় ৷