শ্রীরামপুর, 3 মে : লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছিল কাজ । মার্চ মাসের বেতন মিললেও এপ্রিল মাসের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । এদিকে বাড়িতে বৃদ্ধা মা । তাঁর ওষুধের খরচ । ছেলের পড়াশোনার খরচ এবং চারজনের সংসার চালানোর ভার । বেতন না হলে কীভাবে চলবে এইসব কিছু ? এই পরিস্থিতিতে গতকাল বাড়ির বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় । নাম সদানন্দ চক্রবর্তী (39)। হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা। পরিবারের অনুমান, দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছেন তিনি ।
বন্ধ রোজগার, ছিল সংসার চালানোর দুশ্চিন্তা ; ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ব্যক্তির
শ্রীরামপুরে একটি জামা কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন । লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর দোকানটি বন্ধ হয়ে যায় । পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ।
সদানন্দ চক্রবর্তীর দিন আনা দিন খাওয়া সংসার । শ্রীরামপুরে একটি জামা কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন । লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর আর পাঁচটা দোকানের মতো ওই দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায় । কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের বেতন দিয়ে দিলেও, এপ্রিল মাসে কাজ না করায় বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । এদিকে বাড়িতে বৃ্দ্ধা মা'র ওষুধের খরচা । ছেলের পড়াশোনার খরচা । পাশাপাশি চারজনের সংসার চালানোর চাপ । যাতে নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছিলেন সদানন্দ । এরপর গতকাল দুপুরে বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে । পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । পুলিশ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ।
এবিষয়ে সদানন্দবাবুর মামা স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, "কীভাবে সংসার চলবে সেই দুশ্চিন্তায় ছিল সদানন্দ । পরিবারের অনেকেই সেকথা জানেন । মানসিক অবসাদ থেকেই ও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।"