পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আগামীদিনে বাংলার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে : লকেট

হুগলির চণ্ডীতলায় একটি মিছিলে হামলার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে গতকাল সিঙ্গুরে হুগলি গ্রামীণ SP অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান লকেট ও BJP কর্মীরা।

ফাইল ফোটো

By

Published : Apr 24, 2019, 12:07 PM IST

Updated : Apr 24, 2019, 2:28 PM IST

সিঙ্গুর, 24 এপ্রিল : "হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন ভোটে জিতেবেন, তাহলে উনি এটা ভুল করছেন। হিন্দু মুসলমান সকলে একসঙ্গে মিলে থাকাই হল বাংলার সংস্কৃতি। উনি স্টেজে ও ক্যামেরায় ভিন্ন কথা বলেন, ভিতরে আর এক রকমের কাজ করেন। সংখ্যালঘুদের যেভাবে মদত দিচ্ছেন তাতে আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে ।" গতকাল এক সাক্ষাৎকারে ETV ভারতকে একথা বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

ভিডিয়োয় শুনুন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

রবিবার হুগলির চণ্ডীতলায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে গতকাল সিঙ্গুরে হুগলি গ্রামীণ SP অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান লকেট ও BJP কর্মীরা। তিনি বলেন, "আমাদের যে কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের যদি আদালতে তোলা হয় তাহলে বাংলাজুড়ে আমরা আন্দোলন করব । মিছিল করতে গেলে যদি আমাদের হামলার স্বীকার হতে হয় তাহলে আমি বলব বাংলায় কেনও ধর্ম, শিক্ষা, গণতন্ত্র নেই । ভোটের তাগিদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু মুসলমানের বিভেদ তৈরি করছেন। এর পরিণাম ভালো হতে পারে না। আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারজন্য দায়ি থাকবে পুলিশ প্রশাসন । আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।"

লকেট আরও বলেন, "চন্দননগরে আমার, সুবীর দা ছাড়াও 12 হাজার লোকের নামে কেস দিয়েছে। আমরা নাকি বাড়ি পোড়াতে, দাঙ্গা লাগাতে গেছি। এক একজনের নামে ১৫-২০ টা করে কেস দিয়েছে। চুঁচুড়াতে আমরা ছাড়াও আরও তিনহাজার অপরিচিত মানুষের নামে কেস দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা তির, ধনুক, গদা হাতে নিয়েছিলাম। যারা অস্ত্র নিয়ে আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটাল তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। আমরা এই ঘটনা SP-কে জানাই। SP বলছে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হলে তদের গ্রেপ্তার করা হবে । পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু, রামনবমীর মিছিলে যারা ছিল তাদের খুঁজে খুঁজে কেস দেওয়া হয়েছে । আবার এমন কিছুজনের নামে কেস দেওয়া হয়েছে যারা মিছিলে ছিলই না। পুরোপুরি এক তরফা কাজ করছে প্রশাসন । আমরা আবার আসব। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারছে না বলে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করব। কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে দরকার । এই ভাবে ভোটের জন্য মানুষকে মেরে কী লাভ হবে? বাংলা শেষ হয়ে যাচ্ছে ।"

Last Updated : Apr 24, 2019, 2:28 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details