হুগলির পোলবায় লকেট চট্টোপাধ্যায় পোলবা, 12 মার্চ:চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Asit Mazumdar) বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Slams Asit)৷ তাঁর দাবি, মহিলা জনপ্রতিনিধিকে রাস্তায় হেনস্থা করার যে নিদান অসিত দিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) তীব্র আক্রমণ করায় তাঁকে পালটা জবাব দিয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ৷ তখনই তিনি লকেটকে 'অসভ্য মহিলা' বলার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন যে, দিদির সুরক্ষা বৈঠকে গিয়ে তিনি মানুষকে বলবেন লকেটকে হেনস্থা করতে ৷ এই মন্তব্যেরই কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন হুগলির সাংসদ ৷
তিনি বলেন, "চুঁচুড়ার বিধায়ক যদি বলেন যে, একজন মহিলা জনপ্রতিনিধিকে রাস্তায় হেনস্থা করতে, তাহলে সাধারণ মানুষর কী অবস্থা বুঝুন ৷" অসিত মজুমদারের মাথা ডিসকানেক্টেড হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ।
রবিবার পোলবার বারেকপুরে বিজেপির এক কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি বলেন, "যদি আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তার জন্য ইডি, সিবিআই আছে, তারাই দেখবে । তদন্ত চলছে, মানুষ সব কিছু বুঝতে পারবে । তাছাড়া আমি তো এটা নিয়ে মামলা করব । চরিত্র হনন নিয়ে যে কথা বলেছেন তাতে মামলা করব । তিনি (অসিত) চাইলে মানহানির মামলা নিশ্চয়ই করুন । আমি তো অনেকের কথা বলেছি, তিনি এমন ভাবে কথা বলছেন যেন মনে হচ্ছে তাঁর মাথা ডিসকানেক্টেড হয়ে গিয়েছে । কোনও অংকের সঙ্গে কোনও অংকের মিল পাচ্ছেন না । যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন । বোঝা যাচ্ছে, এটা শুনে ব্রেক ডাউন হয়েছে তাঁর ৷ তিনি বুঝেছেন গাড়িটা এ বার তাঁর সামনাসামনি আসছে, তাঁকে তোলার জন্য । একজন মহিলার সম্পর্কে যদি এই ধরনের কথা কেউ বলেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।"
আরও পড়ুন:'পার্থ ও মদনদার ভালো বান্ধবী লকেট', মন্তব্য বিধায়ক অসিত মজুমদারের
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল পরিমাণে জমি, রেস্তোরাঁ ও রিসর্টের খোঁজ মিলেছে ৷ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, "এত টাকা কী করে এল । এত বাড়ি গাড়ি এত সম্পত্তি এত রিসর্ট কোথা থেকে এল । সামান্য চাকরি করত শুনেছি ।"
লকেটের দাবি, 13 লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে । পুরো জনতার টাকা এরা লুট করেছে, যাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা তাঁরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছেন । এগুলো দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের রায়ে তৃতীয় বারের জন্য সরকারে এসে সবাইকে শুষে নিচ্ছে এরা । এদের শাস্তি হওয়া উচিত এবং এদের উপরে যে সমস্ত প্রভাবশালীরা রয়েছেন তাঁদেরও শাস্তি হওয়া উচিত ।