হুগলি, 29 মে: দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা দেখা যায় না ৷ তাই আরও কঠোর এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ৷ সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে সোমবার এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷
এদিন লকেট বলেন,"অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘির ফলের সময় বলেছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম একসঙ্গে মিলে আছে । সেটা যে ছিল না, তা আজ পরিষ্কার হয়ে গেল ৷ এখান থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল কারা একসঙ্গে আছে । সিপিএম কংগ্রেস সব একই পথের পথিক । ওদের ভোট দেওয়া মনে বিরোধীদের সকলকেই ভোট দেওয়া । মানুষের সেবার নামে ভোট নেওয়ার পর নিজের সুবিধার্থে দলবদল করে নেওয়া, এটা খুব অন্যায় । আমার মনে হয় এই আইনটাকে আরও দ্রুত বলবতের ব্যবস্থা করা উচিত । কারণ মানুষকে দিনের পরদিন বোকা বানানো হচ্ছে । এই জিনিস চলতে থাকলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না ।"
লকেটের আরও কটাক্ষ, নিজের ফায়দার জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বায়রন । তাঁর দাবি, সাগরদিঘিতে নো ভোট টু তৃণমূল হয়েছিল । কংগ্রেস জেতার অবস্থায় ছিল বলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল মানুষ । সেই বিশ্বাসভঙ্গ করে এখন বাইরন বাই বাই করেছেন । আসলে এখানে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম সব এক । বিজেপি একাই লড়াই করছে । বাইরন টাকার লোভেই গিরগিটির মতো রঙ বদলেছেন বলে মনে করেন লকেট ৷
আরও পড়ুন: 'আমি তৃণমূলেরই লোক, জেলা থেকে কংগ্রেস মুছে যাবে', ঘাসফুলে নাম লিখিয়েই বাইরন উবাচ
কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে লকেট এদিন অভিষেককে কটাক্ষ করে লকেট বলেন,"উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ভ্রমণে বেরিয়েছেন । কিছুতো একটা দেখাতে হবে । মাটি থেকে লড়াই করে তো নেতা হতে পারেননি । নিজেরা পরিকল্পনা করে গাড়ি ভেঙে এই জিনিসটা করেছে । কুড়মিদের সঙ্গে যেটা হচ্ছে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন অত্যন্ত নিন্দনীয় । নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কুড়মি সমাজের ।"