TMC Leader Viral Pic: বিধায়কের পা টিপছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ছবি ভাইরাল

তৃণমূল নেত্রী বিধায়কের পা টিপে দিচ্ছেন ৷ ছবি ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক (Viral Post of TMC Leader)৷

চুঁচুড়া, 24 জানুয়ারি:বিধায়কের সেবায় ব্যস্ত পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সদস্য (Chinsurah TMC)। এই ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক চুঁচুড়ায় ৷ দাসী বলে আখ্যা বিজেপির । সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে কালিমা লিপ্ত করার জন্যই এই সব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । পালটা বিজেপির দাবি, বিধায়ক অসিত মজুমদারের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে । দেনাপাওনার রাজনীতি চলছে । সকলকে দাসী বানিয়ে রেখেছেন বিধায়ক । বিধায়কের বক্তব্য, "শিক্ষার অভাব রয়েছে তাই জানোয়ারের দল এসব বলছে । এর জবাব মানুষ দেবে ।"

20 জানুয়ারি, চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি করেন তাঁরই বিধানসভা এলাকায় । সারাদিন এলাকায় কর্মসূচি শেষ করে দেবানন্দপুরে দলীয় তৃণমূল সদস্য পীযূষ ধরের বাড়িতে রাত কাটান । সেই বাড়িতে একটি ঘরের বিছানাতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন । সেখানেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল বিধায়কের পা টিপে দেন । হাসি মুখে বিধায়কের পা টেপার মুহূর্তের ছবি রুমা রায় পাল নিজেরই ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন । তাতে ক্যাপশনে লেখেন, "নো ক্যাপশন ৷ শুধু বলি আমার গুরু । আমার ভগবান, তাঁর সেবা করে আমি ধন্য ।"

এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে অবশ্য দেরি হয়নি ৷ আর তাতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড় ৷ কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি । এই বিষয়ে রুমা রায় পাল বলেন, "ওনার এক মাস আগে পায়ে একটা অপারেশন হয়েছে । অনেক সেলাই পড়েছে । দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে সারাদিন হেঁটে ঘোরার পর ওনার পায়ে টান ধরে ছিল সেই সময় । পা টা শক্ত ইটের মতো হয়ে গিয়েছিল । উনি আমাকে মেয়ের মতো স্নেহ করেন । আমার স্বামী মারা যাবার পর উনি আমাকে প্রধান থেকে অনেক কিছু করেছেন । তাই আমি ওনাকে বাবার থেকেও বেশি শ্রদ্ধা করি । তাই বাবা, মা'র যদি কিছু হয়, তখন তো আমরাও ওনাদের সেবা শুশ্রূষা করি । তাই উনি বিধায়ক বলে ওনাকে করতে পারবো না, এটা কোথায় লেখা আছে । উনি শুয়ে আছেন আর একজন মেয়ে বাবার যেরকম সেবা শুশ্রূষা করেন ওই ফটোটাতে দেখবেন তেমনই আছে । অনেকটা মেসেজ করার পর ওনার পা যতটা শক্ত হয়েছিল অনেকটা ঠিক হয়ে যায় । এটা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করেছিলাম । তাই আমি ফেসবুকে লিখেছিলাম তিনি আমার ভগবান । ছবির সঙ্গে সেই লেখাটাও স্ক্রিনশট হয়ে ভাইরাল হওয়া উচিত ছিল । কিন্তু সেটা হল না শুধু ছবিটা ভাইরাল হল ।"

ভাইরাল হওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পোস্ট

হুগলি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এ বিষয়ে জানান, বিধায়কের পলিসি খুবই পরিষ্কার । গিভ অ্যান্ড টেক । সুতরাং, কিছু পেতে গেলে কিছু তো দিতে হবে । এই পলিসিতেই চুঁচুড়ার বিধায়ক বিশ্বাসী । তাঁর এরকম অনেক অনুরাগী আছেন, যাদেরকে তিনি দাসী বানিয়ে রেখেছেন, নিজে কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য । আর এর বিনিময়ে কাউকে পঞ্চায়েতের প্রধান, কাউকে পঞ্চায়েতে সদস্য তিনি বানিয়ে দেবেন, এমনই প্রলোভন দেখিয়েছেন । এই ধরনের বিষয় খুবই লজ্জাজনক । ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক ।এ বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "আমার একটা বড় অপারেশন হয় । আমি এখনও সুস্থ নই । তারপরেও দলের নির্দেশ মতো দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি করছি ৷ যারা এটা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে তাঁদের বাবা মা শিক্ষা দীক্ষা দেয়নি । যাদের জ্ঞান নেই তারা এসব বলে । দলের কর্মীরা আমার মঙ্গল চায়, আর বিরোধীরা আমার মৃত্যু চায় । দলের নেতা সমর্থক তারা আমার সেবা করবে । বাবা ও দাদার মতো অসুস্থ হলে সেবা করবে না ? আমরা একটা পরিবারের মতো । সেসব বোঝে না অসভ্য জানোয়াররা ৷ রুমা তাঁর দাদাকে শুশ্রূষা করেছে । বেশ করেছে । আমিও যদি যদি আমার দলের শুশ্রূষা করতে হয় করব । জানোয়াররা এসব বলবে । পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে এসব যারা বলছে এর যোগ্য জবাব দেবে ।"