চন্দননগর, 16 নভেম্বর: স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি অরবিন্দের স্মৃতি সৌধের সামনে বসে মদের আসর । রমরমিয়ে বিক্রি হয় চোলাই মদের পাউচ । চন্দননগর পৌরনিগমের তরফে এই মদ্যপান নিষিদ্ধ বলে নোটিশ ঝোলানো থাকলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই কারোরই । চন্দননগর বোড়াইচণ্ডী গঙ্গার ঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই এই অপকর্ম চলে আসছে প্রশাসনের নাকের ডগায় (Illegal Liquor Business Going in Front of Rishi Aurobindo Memorial in Chandannagar)।
Chandannagar: ঋষি অরবিন্দর স্মৃতি বিজড়িত সৌধের সামনে রমরমিয়ে বেআইনি মদের কারবার - চন্দননগরে অবৈধ মদের ব্যবসা
ইতিহাস বিজড়িত ঋষি অরবিন্দর স্মৃতি সৌধের সামনে মদের ঠেক (Chandannagar)৷ পৌরনিগমের নোটিশ বোর্ড ঝোলানো থাকলেও তাতে ডোন্ট কেয়ার ৷ কোনওরকম তোয়াক্কা না-করেই চলছে অপকর্ম ৷ প্রশাসন অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে৷
বোড়াই চণ্ডীর এই ঘাট থেকে বিপ্লবী অরবিন্দ এখানকার আশ্রমে গোপন আস্তানায় ছিলেন । এখানেই রয়েছে চন্দননগরের বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান ঘাট ৷ সারা দিনে বহু মানুষের সমাগম হয় । তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন বেআইনি কারবার চলে আসছে । এর আগেও বহুবার ব্যবস্থা নিলেও মদের ঠেক উচ্ছেদ করা যায়নি । সৌধের সামনে মদ্যপান নিষিদ্ধ বলে লাগানো পোস্টারে 500 টাকা ফাইনের কথাও লেখা আছে । কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এই কারবার চলছে । সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেখানে স্বাধীনতার 75 বছর উদযাপন হচ্ছে । সেখানে চন্দননগরের গৌরবময় ঐতিহাসিক স্থানকে কলুষিত করা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে প্রবর্তক সেবা নিকেতনের সভাপতি নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় ধিক্কার জানিয়েছেন । তিনি বলেন, "1910 সালে 12 ফ্রেব্রুয়ারি চন্দননগরে বোড়াইচণ্ডী তলার ঘাট দিয়ে মহাগুরু শ্রী অরবিন্দ এখানে আসেন । সামনেই প্রবর্তক আশ্রম ।সেখানে মতিলাল রায়ের কাছে থাকেন । প্রবর্তক আশ্রম বিপ্লবীদের পীঠস্থান ছিল এবং এই ঘাট দিয়েই পন্ডিচেরী যাত্রা করেন । সেই স্মৃতি সৌধের কাছেই মদ্যপান চলছে । এটা সত্যি লজ্জাজনক ব্যাপার । চন্দননগরবাসী নয় আমাদের সকলকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ।"
আরও পড়ুন :রসগোল্লা বিলি করে জিআই স্বীকৃতির বর্ষ পালন হুগলির মিষ্টি ব্যবসায়ীদের