চুঁচুড়া, 16 ডিসেম্বর: ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল কিশোরী ৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই চলত অকথ্য অত্যাচার ৷ নেশা করে প্রতিরাতে বাড়ি ফিরত স্বামী ৷ বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্যও চাপ আসত প্রতিদিন ৷ শারীরিক নিগ্রহ থেকে শুরু করে মানসিক অত্য়াচার বাদ যায়নি কিছুই ৷ প্রতিরাতেই হত অশান্তি ৷ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে দিনের পর দিন কিশোরীর উপর অত্যাচার চালাত স্বামী ৷ আর শেষমেষ গতকাল ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ কিশোরীর বাবার বাড়ির লোকের অভিযোগ, স্বামীই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিশোরীকে ৷ শুধু কিশোরীর বাপের বাড়িই নয় ছেলের এই কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন বাবাও ৷
গতকাল রাতে চুঁচুড়ায় পল্লিশ্রীতে উদ্ধার কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ ৷ খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম স্মৃতি দাস (17) ৷ রঞ্জন চুঁচুড়া লেনিননগরের বাসিন্দা ৷ কিশোরীর বাবার বাড়ির অভিযোগ, স্মৃতিকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে রঞ্জনই ৷
বছর তিনেক আগে স্মৃতির সঙ্গে বিয়ে হয় রঞ্জনের ৷ স্মৃতির বাপের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, গতরাতে স্মৃতির শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে ৷ জানানো হয় সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ৷ এরপর তাকে উদ্ধার করে শ্বশুরবাড়ির লোকরাই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
স্মৃতির বাপের বাড়ির লোকদের অভিযোগ, নেশা করত রঞ্জন ৷ বিয়ের পর থেকেই টাকা-পয়সা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিত তাঁদের মেয়েকে । মারধর করত ৷ গতরাতে অশান্তি হয় দু'জনের মধ্যে । মদ খেয়ে এসে স্মৃতিকে মারধর করে। সোমবার ভোরে স্মৃতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ অভিযোগ, স্মৃতিকে মেরে তারপর ঝুলিয়ে দিয়েছে রঞ্জনই ৷ তাঁদের অভিযোগের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন রঞ্জনের বাবা হারাধন দাসও ৷ তিনিও জানিয়েছেন স্মৃতিকে খুন করেছে ছেলে ৷
হারাধনবাবু বলেন, "রাতে ওদের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল । মত্ত অবস্থায় মারধরও করেছিল স্মৃতিকে ৷ আমরা পাশের ঘরে বসেছিলাম ৷ বেরিয়ে এসে দেখি বৌমাকে চড় মারতে । প্রায়ই নেশা করত ছেলে। রঞ্জনই বৌমাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে ৷ আমি চাই ও শাস্তি পাক ৷"