আমফানের ঝড়ে ভাঙল হুগলি ইমামবাড়ার চূড়া
চুঁচুড়া ইমামবাড়া প্রায় 179 বছরের প্রাচীন।আমফানের ঝড়ে ভেঙে পড়েছে সেই ইমামবাড়ার পিতলের চূড়া । রেহাই পায়নি মেন গেটও।ইমামবাড়ার প্রবেশ দ্বারে দুটি বিশাল ঘড়ি বিশিষ্ট দুটি টাওয়ার আছে।তারই দুটি গম্বুজের চূড়ায় দুটি পিতলের অংশের মধ্যে একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়।সেই সঙ্গে বজ্রপাত নিরোধক একটি অংশ ভেঙে রাস্তায় পড়ে।
হুগলি,23 মে : আমফানের ঝড়ে ভেঙে পড়েছে ইমামবাড়ার পিতলের চূড়া । রেহাই পায়নি মেন গেটও। চুঁচুড়া ইমামবাড়া প্রায় 179 বছরের প্রাচীন । হাজি মহম্মদ মহসিন কয়েক লাখ টাকা দিয়ে তৎকালীন সময়ে তৈরি করেছিলেন এই ইমামবাড়া।ইমামবাড়ার প্রবেশ দ্বারে দুটি বিশাল ঘড়ি বিশিষ্ট দুটি টাওয়ার আছে।তারই দুটি গম্বুজের চূড়ায় দুটি পিতলের অংশের মধ্যে একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়।সেই সঙ্গে বজ্রপাত নিরোধক একটি অংশ ভেঙে রাস্তায় পড়ে।অবশ্য ইমামবাড়ারই এক কর্মী তা উদ্ধার করেছেন সেগুলিকে।এই বছরই হেরিটেজ দপ্তরের তরফে ইমামবাড়ার এই অংশটি নতুন করে সারানোর কাজ শেষ হয়েছিল।এরপর আবারও এই প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল হুগলির এই স্থাপত্য।
চুঁচুড়ায় মহম্মদ মহসিন 1841 সালে এই জামাতের হল ও মসজিদ তৈরি করেছিলেন।150 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টাওয়ার ও বিশাল ঘণ্টা-সহ দুটি ঘড়ি লাগানো আছে এতে ।অসংখ্য বেলজিয়াম ঝাড় লণ্ঠন ও কারুকাজ করা আছে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটির মধ্যে।
ইমামবাড়ার এক কর্মী মহম্মদ তুফান বলেন, ঝড়ের গতিতে চূড়ার পিতলের অংশ ভেঙে ছাদে পরে যায়। এই ঝড়ে আমি ও আমার পরিবার কেউই মূল দরজা সামলাতে পারছিলাম না । বাঁশ দিয়ে কিছু আটকানো যাচ্ছিল না। অতীতে এই ধরনের ঝড় আমরা দেখিনি। দরজার একটি অংশও ভেঙে যায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সৌমিত্র সিংহ বলেন, ''ইমামবাড়ার এই প্রাচীন ঐতিহ্যটি আমাদের কাছে একটি আবেগ।জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গোটা ভারতের গর্ব।দীর্ঘদিন ধরে এই চূড়া বহু ইতিহাস বহন করে চলেছে।এতো দিন এত ঝড়েও কিছু হয়নি।কিন্তু আমফানের ঝড়ে ভেঙে গেল চূড়াটি। আমরা চাই হেরিটেজ কমিশন ও রাজ্য সরকার যে ভাবে হোক এই স্থাপত্যটিকে সারিয়ে দিক ।''