চন্দননগর, 4 জানুয়ারি: চন্দননগরে একসময় ছিল ফরাসিদের উপনিবেশ । এখনও গঙ্গাপাড়ের শহরের একাধিক জায়গায় রয়েছে তার নিদর্শন । সেই চন্দননগরেই অবহেলায় পড়ে রয়েছে ফরাসিদের ঐতিহাসিক মিউজিয়াম । সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী, নেই কিছুই । শীতকালে দেশি-বিদেশি বহু পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন । উপভোগ করেন ফরাসি আমলের বই, ভাস্কর্য্য । ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নানা ঐতিহাসিক জিনিসপত্র রাখা আছে এই সংগ্রহশালায় । এছাড়াও রয়েছে ফরাসি ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা । এই ইনস্টিটিউটে ফরাসি ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ানো হয় । কিন্তু দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাবে তাও প্রায় বন্ধের মুখে (Historic French Museum is getting neglected) ।
অভাব রয়েছে দুর্মূল্য ও দুষ্প্রাপ্য জিনিসগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামোরও । না-আছে লাইব্রেরিয়ান, না-আছে কিউরেটর । নানা ঘাটতির মাঝেও দাঁড়িয়ে আছে ফরাসি স্থাপত্য । চন্দননগরবাসী থেকে ইতিহাসপ্রেমী, প্রত্যেকেই চায় এই সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার ও ঐতিহাসিক স্থানের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হোক । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই ঐতিহাসিক স্থানকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করুক ।
চন্দননগরে ফরাসিরা মোগল বাদশার কাছ থেকে 40000 মুদ্রার বিনিময় 1688 খ্রিস্টাব্দে কুঠি স্থাপন করেন । পরে চন্দননগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত মনোরম প্রাসাদের ফরাসি উদ্যানবাটী তৈরি করা হয় । ফরাসি উপনিবেশের শাসকের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই প্রাসাদ । সামনে বারান্দায় অনেকগুলি সারিবদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে । প্রাসাদের চারিদিকে সেটাও নষ্ট হচ্ছে এই সময় । ছাদের উপরে কাঠের একটি সুন্দর চালা রয়েছে, সেটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে । ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, বৃষ্টি হলেই সেখান দিয়ে জল পরে । এই স্মারকটি তৎকালীন ফরাসি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক উপনিবেশের গুরুত্ব বহন করে ।