সিঙ্গুর, 3 জুলাই : ঋষিকের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুরা ৷ ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের এই পরিণতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, বলছে সবাই । বেলুড় GRP-র তরফে জানা গেছে, সুইসাইড নোটে পড়াশোনার চাপের কথা লেখা ছিল । তবে ঋষিকের বাবা-মা এনিয়ে মুখ খোলেনি ৷
সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল ঋষিক । চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 472 নম্বর পেয়ে পাশ করে ঋষিক । এরপর কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজে ফিজি়ক্স অনার্স নিয়ে ভর্তি হয় । বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে যায় ঋষিক । সেদিনই বেলা সাড়ে 12টায় পর উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর রেল স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । ঋষিকের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট । গতকাল তাঁর পরিবার মৃতদেহ শনাক্ত করে ।
সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস সিনহা বলেন, "ঋষিক ভদ্র ছেলে ছিল । ও প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল । ওর এই মৃত্যু সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার । তবে শারীরিক নির্যাতনের জন্য যদি ঋষিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার । ইংরেজিতে বরাবরই ভালো ছিল সে । ইংরেজি মাধ্যমে ঋষিকের মতো মেধাবী ছাত্রের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷ প্রাথমিকভাবে বাংলা মাধ্যম থেকে ইংরেজি মাধ্যমে গেলে একটু অসুবিধা হতে পারে । তবে তার জন্য ঋষিকের মতো এরকম একটি মেধাবী ছাত্র এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবা যায় না । "
ঋষিকের বন্ধু তপোব্র্ত ভট্টাচার্যের কথায়, "ইংরেজিতে বেশ ভালোই রেজ়াল্ট করত ঋষিক । তবে ইংরেজিতে কথোপকথনের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতেই পারে । কিন্তু তার জন্য ও এরকম করবে আমরা ভাবতে পারিনি । ও যখন নিখোঁজ ছিল ভেবেছিলাম কিডন্যাপ হয়েছে ।"
ঋষিকের আর এক বন্ধু অর্ণব দে বলে, "ইংরেজি ভাষার জন্য এভাবে ঋষিক আত্মহত্যা করবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না । আমার মনে হয় হস্টেলে অন্য কোনও সমস্যার জন্য ও নিজেকে শেষ করে দিল ৷"