গুড়াপ, 1 সেপ্টেম্বর : কার্ডের বদলে চটি খাতা বা ছোটো ডায়েরি জব কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ৷ অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গুড়াপ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৷
গুড়াপের চামট গ্রামের 30 নম্বর বুথে প্রায় আড়াইশো জন জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন ৷ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে গুড়াপ পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ পরিচালিত হত ৷ অভিযোগ, পুকুর কাটা থেকে রাস্তা মেরামতি সবক্ষেত্রেই শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, গুড়াপ পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে ছোটো ডায়েরি বা খাতাতে সই করে দিত সুপার ভাইজ়াররা ৷ 2018 সালে একশো দিনের কাজের নামে মাত্র 17 দিন কাজ করিয়ে বাকি দিনের টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে৷ যদিও পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অমিত ঘোড়ুইয়ের দাবি, হিসেবের জন্য ছোটো ডায়েরি বা চটি খাতা তিনিই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্ত তিনি বা সুপার ভাইজ়াররা কোনও আর্থিক দুর্নীতি করেননি ৷
আরও পড়ুন : লকেটের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ BJP-র
চামট গ্রামের জব কার্ড হোল্ডার বিষহরি গুছাইত বলেন, "আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 65 দিনের টাকাও জমা পড়েছে ৷ কিন্তু সুপারভাইজ়াররা জানায়, তোমরা 17 দিনের টাকা তুলে নাও ৷ বাকি টাকা JCB-র টাকা বলে কেটে নিয়েছে ৷ অর্থাৎ JCB ব্যবহার করে মাটি কাটা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদ করলে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ " বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত BDO-তে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল গুড়াপ পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব ৷ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷
এই নিয়ে BJP-র মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ মুখার্জি বলেন, "তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজ়াররা বেশকিছু বয়স্ক মানুষের জব কার্ড নিয়ে রেখেছে ৷ বদলে ছোটো ডায়েরিতে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প দিয়ে সমস্ত টাকার লেনদেন হয়েছে ৷ গুড়াপ GP-তে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়ে গেছে ৷ কিন্তু একটা রাস্তাও নির্মাণ হয়নি ৷ JCB দিয়ে 6টি বুথের পুকুর কাটার 1700 টাকা করে নিয়ে নিয়েছে সুপার ভাইজ়াররা ৷ পঞ্চায়েতে প্রধান কাছে গিয়েও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না ৷ আমাদের দাবি ওরা পঞ্চায়েত চালাতে না পারলে প্রশাসক নিয়োগ করুক ৷"