শ্রীরামপুর, 3 মার্চ : ফুটবলারের স্নেহাশীষ দাশগুপ্তের মৃত্যুর ঘটনায় 4 বছর পর বেকসুর খালাস শ্রীরামপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর পিন্টু নাগ ৷ এইসঙ্গে কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্য সহ 8 জনকে মুক্তি দিল শ্রীরামপুর আদালত ।
2017 সালের 2 অক্টোবর শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে রেল লাইনে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায় ফুটবলার স্নেহাশীষ দাশগুপ্তকে । মৃত ফুটবলারের পরিবারের দাবি ছিল, মৃত্যুর কিছুদিন আগে কাউন্সিল পিন্টু নাগের ভাইপোর সঙ্গে ঝামেলা হয় স্নেহাশীষের । দুর্গাপুজোর নবমীর রাতে তাঁকে মারধর করে পিন্টু নাগ ও তাঁর দলবল । দশমীর ভোরে শ্রীরামপুর মাল গুদামের কাছে রেললাইনে তারাপুকুর সরকারি আবাসনের বাসিন্দা রাজার দেহ মেলে । সেই সময় শ্রীরামপুরের বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের 'আক্রান্ত আমরা' সংগঠনের পক্ষ থেকে স্নেহাশিসের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় । এর মধ্যে 2018 সালে বিজেপিতে যোগ দেন স্নেহাশীষ দাশগুপ্তের মা রিঙ্কু দাশগুপ্ত ৷ অন্যদিকে কাউন্সিলর ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে ৷ সেই মামলাতে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয় পিন্টু নাগ সহ 8 জনকে । আজ শ্রীরামপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ সুরেশ বিশ্বকর্মার রায়ে বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু নাগ সহ 8 জন ।
পিন্টু নাগ বলেন, "2017 সালে স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যু হয় । যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক । কিন্তু ওই ঘটনায় আমি, আমার স্ত্রী এবং মেয়ের বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়েছিল । 90 দিন জেল হেফাজতে ছিলাম । সেদিনও যে কথা বলেছিলাম আজও তাই বলব, এই ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না । আজ মনে হচ্ছে, আমি রাজনীতি করি, মানুষের পাশে থাকি বলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের কিছু মানুষ আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল । আজ মহামান্য আদালত আমাদের সকলকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছে । আমরা যে সত্যিই কিছু জানতাম না, সেটা আজ প্রমাণ হল ।"