হুগলি, 9 নভেম্বর: তাপসী মালিক খুনের মূল অভিযুক্ত সুহৃদ দত্তের মৃত্যুর পর মুখ খুললেন তাপসীর বাবা। 'মহান কাজ করেছেন বলেই উপরওয়ালা তাকে সাজা দিয়েছে', এভাবেই ক্ষোভ উগরে দেন তাপসীর বাবা মনোরঞ্জন মালিক। অন্যদিকে, তৎকালীন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কৃষক নেতা দুধকুমার ধারা বলেন, "মৃত্যুর পর রাজনীতি করা ঠিক নয়। তবে সেই সময় আমাদের দাবি ছিল তাপসী মালিককে যেভাবে হারিয়েছিলাম তার প্রতিবাদ করা। তাই আন্দোলন করেছিলাম।"
সিঙ্গুরে টাটাদের শিল্পের পক্ষে বড় ভূমিকা ছিল সুহৃদ দত্তের। তাপসীর মৃত্যুর পর সিবিআই-এর তালিকায় মূল অভিযুক্ত হন এই সিপিএম নেতা। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে মেয়েক ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করে মৃত তাপসী মালিকের পরিবার। পরে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক। পরে দু'জনেরই যাবজ্জীবন সাজা হয় নিম্ন আদালতে। পরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তারা। পরে সেই মামলার দীর্ঘ কয়েক বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। এর মাঝেই এদিন সুহৃদ দত্তের মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক বলেন, "2006 সালে 18 ডিসেম্বর সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। তাদের জেল হয়েছিল, কিন্তু হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মেয়েকে জঘন্য খুনের জন্য অভিশাপ লাগবেই।"
এর সঙ্গেই মনোরঞ্জন মালিক বলেন, "দিনরাত চোখের জল ফেলেছি আর ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি, তাই ওর কুষ্ঠ ব্যধি হয়েছিল। মহান কাজ করেছেন বলেই উপরওয়ালা তাকে সাজা দিয়েছে। এখনও মামলা চলছে, দিদির উপরে আমার আস্থা ভরসা রয়েছে। অনেকদিন হয়ে গেল আদালতেও যায়নি।" বাম নেতাদের পালটা অভিযোগ অবশ্য, শাসক দল আর এই মামলায় আন্দোলন করছে না ৷ কারণ হিসাবে তাদের ব্য়াখ্য়া, তারা জানে এটা মিথ্যা মামলা ৷ বেশি আন্দোলন করলে সত্য বেরিয়ে আসবে ৷ সেই প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন মালিক বলেন, "ওরা আমার মেয়েকে ফোন করেছে এটা সত্য। কারণ সেই সময় সিপিএমের রাজত্ব ছিল। 144 ধারার মধ্যেও রাতে সিপিএমের নেতাদের আনাগোনা ছিল অবাধ ৷ সাধারণ মানুষের প্রবেশ ছিল না। আমি জানি সিপিএমের লোকেরাই আমার মেয়েকে খুন করেছে।"