হুগলি, 14 এপ্রিল : কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা চাষির। নাম বাপি টুডু (32)। বাড়ি একতারপুর পঞ্চায়েতের তেলিনিপাড়া গ্রামে। গতরাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, পিঁয়াজ চাষে ক্ষতি হওয়ায় ঋণে জর্জরিত হয়ে বাপি আত্মহত্যা করেছেন।
পিঁয়াজ চাষে ক্ষতি, আত্মঘাতী চাষি
পিঁয়াজ চাষে ক্ষতি হওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন এক চাষি। পরিবারের দাবি, চাষে ক্ষতি হওয়ায় ওই বাপি টুডু নামে ওই চাষি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। গতরাতে তাঁর মৃত্য হয়।
বাপির বাড়িতে মা ও দুই ভাই থাকেন। চাষ করে কোনও রকমে সংসার চলে। তিন বিঘা জমি লিজ় নিয়ে পিঁয়াজ চাষ করেছিলেন। অকাল বৃষ্টির জেরে ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। অনেক টাকা ক্ষতি হয়। মহাজনদের তাগাদাও বাড়ছিল। সার ও ওষুধের দোকানে ধার শোধ করতে পারছিলেন না বাপি। পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে বাপি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে জিরাট হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, বাপি কীটনাশক খেয়েছেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গতরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাপির মা বলেন, "লোকের তিন বিঘা জমি নিয়ে পিঁয়াজ চাষ করেছিল। ফসলও হয়েছিল ভালো। কিন্তু, বৃষ্টিটাই সব শেষ করে দিল। পিঁয়াজ পচে গেছে। বাড়িতে আধ বস্তা পচা পিঁয়াজ এখনও পড়ে আছে। লোকজনের তাগাদা বাড়ছিল। তাই, ছেলেটাই থাকল না।"